বিদেশে চাল রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এখন পরিকল্পনা নিচ্ছে বাসমতী নয় এমন চাল যাতে বিদেশে রফতানি আপাতত বন্ধ করে দেয়া যায়। 


গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা ব্লুমবার্গের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।  


প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চালের দাম বেড়ে গেলে মহা সমস্যায় পড়ে যাবে ক্ষমতাসীন দল। সেকারণে একেবারে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে বিজেপি সরকার। চাল রফতানি করতে গিয়ে যদি দেশের চালের ঘাটতি দেখা যায় তবে স্বাভাবিতকভাবেই দাম বেড়ে যেতে পারে। এতে সমস্যায় পড়বেন আমজনতা। সেকারণেই এবার নয়া সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। 


সূত্রের খবর, এবার উত্তরভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে চাল উৎপাদনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে দেশ। এরপর যদি চাল রফতানি করা হয় তখন সমস্যা আরও বাড়বে। সেকারণে চালের বাজারে দাম বৃদ্ধি রুখতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। 


ইকোনমিক টাইমস সূত্রে খবর, ২০২২ সালে ভারত প্রায় ৫৬ মিলিয়ন টন চাল বিদেশে রফতানি করেছিল। সব মিলিয়ে বিশ্বের ৪০ শতাংশ চাল ভারত রফতানি করে। 


রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারত বিশ্বের অন্য়তম সস্তায় চাল সরবরাহকারী দেশ। তবে বর্তমানে নতুন সহায়ক মূল্য়ের জেরে চালের দাম বেড়েছে। সেকারণে অন্যান্য সরবরাহকারীরাও চালের দাম বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। 


এদিকে বিশ্বের প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ চালের উপর নির্ভরশীল। আর এশিয়াতেই প্রায় ৯০ শতাংশ চাল উৎপাদিত হয়। 


উল্লেখ্য, গত বছরও ভারত ভাঙা চাল রফতানির ক্ষেত্রে লাগাম টেনেছিল। কার্যত নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল এই ধরনের চাল রফতানি। সাদা ও ব্রাউন চাল জাহাজে করে পাঠানোর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ করও আরোপ করেছিল। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024