জামালপুরের ইসলামপুরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর অপহৃত সেই কিশোরী কন্যা এখন বাবা-মায়ের কাছে।

ইসলামপুর থানায় দায়েরকৃত ওই কিশোরী কন্যাকে অপহরণের মামলায় প্রধান আসামির সঙ্গে নাটকীয় ভাবে জামালপুর আদালতে হাজির হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের জিম্মায় প্রেরণের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অপহরণকারীকে জেলহাজতে প্রেরণেরও দেন। পরে আদালত থেকে ওই কিশোরীকে তাঁর বাবা-মা বাড়িতে নিয়ে যান।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আক্রাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ইসলামপুর থানায় দায়েরকৃত অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মো. পূর্ণ ওরফে বাবু অপহৃত ওই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক ওই কিশোরীকে তাঁর বাবা-মায়ের জিম্মায় প্রেরণের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অপহরণকারী বাবুকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন বিচারক। বাবু পাশ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনমুন আক্তারের ছোট ভাই।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার একব্যক্তি সপরিবারে দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন। তাঁর ১৩ বছর বয়সী এক কন্যার সঙ্গে যুব মহিলা লীগের নেত্রী মুনমুন আক্তারের ভাই মো. পূর্ণ ওরফে বাবু মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওইপ্রবাসী সপরিবারে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইসলামপুরের গ্রামের বাড়িতে বেড়াইতে আসেন। ৩০ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে সড়কে হাঁটাচলাকালে ওই কিশোরী কন্যাকে মুনমুন আক্তার এবং উরফা বেগমের কুপরামর্শে বাবু বিয়ে করা কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পালিয়ে যায় বাবু। গত ২ জুলাই রাতে  ভুক্তভোগী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পক্ষে তাঁর ছোট ভাই বাদি হয়ে শিশু কন্যা অপহরণের অভিযোগে ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মুনমুন আক্তারের মা মামলার ২ নম্বর আসামি মোছা. ওরফা বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয় যুব মহিলা লীগ নেত্রী মুনমুন আক্তারকে।

ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'আদালতের আদেশে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর অপহৃত কিশোরী কন্যা এখন তাঁর বাবা-মায়ের জিম্মায়। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।'

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024