◾ নিউজ ডেস্ক 


যারা অধিকারের কথা বলতে ভুলে যায় তারা সমালোচনা করে কীভাবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


তিনি বলেন, ভারতে সফর শেষে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তিনি গঙ্গার পানি বণ্টনের কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন।গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 


এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল এক থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


তিনি বলেন, সফরের সময় ভারতের আন্তরিকতার অভাব দেখিনি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এই কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।  


ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় শুরু হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। স্মারক সই শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দিয়ে সফরের সফলতা সম্পর্কে জানান 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান, মানবপাচার রোধসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে বড় ধরনের প্রাপ্তির কথা এরই মধ্যে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাদের কারও কারও মতে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর কিছুটা ভিন্ন ছিল। কারণ এবারের সফরে বাংলাদেশের দৃশ্যমান অর্জন রয়েছে। কারণ যৌথ বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, দেশটির সব বন্দর, সড়ক, নৌপথ ব্যবহার করে বিনা মাশুলে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। 


সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমাঝোতা স্বাক্ষরের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহার-সংক্রান্ত স্মারকটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একটি সেচ প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য এই স্মারকের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি তুলতে পারবে বাংলাদেশ। 


তবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরেও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করেন, গত ৩০ বছর ধরে তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করে ক্লান্ত বাংলাদেশের পানিবিশেষজ্ঞরা, যাদের অনেকে এ কাজ করতে করতে অবসরে চলে গেছেন। তারা এখন মাঠপর্যায়ে কিছু বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চান।


ভারতের নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানো এবং লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শেষ করে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেশে ফেরেন।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023