দেশবিরোধী শক্তির অপতৎপরতার সুযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রভুত্ব চাপিয়ে দিতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দোহাই দিচ্ছে। মূলত তারা প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে ভারত-বঙ্গোপসাগর, বিশেষ করে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপে সামরিক ঘাটি গড়ার অভিলাষ থেকে এদিকে নজর দিচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিনিদের সেই অভিলাষ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকার উৎখাতের জন্য নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে বিদেশি নানা মহল।


মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’-এর নেতারা এসব কথা বলেন।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবীর আহাদ।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কূটনৈতিক পারঙ্গমতায় বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। ঠিক তখনই পুরোনো শত্রু পা ধরে টানাটানি করছে। স্যাংশনসের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের জনগণ আছে। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সরকারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছে। দেশবিরোধী সব অপশক্তি রুখে দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তৎপর থাকবে।


তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে কিছু দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নোংরাভাবে নাক গলানোর চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতসহ কিছু জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল অতি উৎসাহী যুক্তরাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তারা জানে নাম এ খাল কেটে ডেকে আনা কুমির তাদেরই একসময় গিলে খেতে পারে।


আবীর আহাদ আরও বলেন, রাজাকার অপশক্তি ও পতিত জামাতিরা লুটপাট করা অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে। বিভিন্ন দেশকে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়াচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশে গোলযোগ সৃষ্টি করা। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এজন্য তারা ভিনদেশি শক্তির ওপর ভর করছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024