অর্থঋন ও ডিগ্রীজারী মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এবং ব‍্যবস্থাপনায় সহোদর ভাইয়ের নিলামকৃত সম্পদ বড়ভাই ক্রয়ের পর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুমানা ফেরদৌসীর ভাড়াটিয়া মাস্তানবাহিনী দ্বারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সম্পদ ভোগ দখলে বাঁধা প্রদান ছাড়াও উচ্চ আদালতে মিথ‍্যে তথ‍্য দিয়ে একের পর এক রিট করে হয়রানি করার প্রতিবাদে এবং নিলামে ক্রয়কৃত সম্পদ উদ্ধারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন  বালুবাড়ী শেখপুড়া নিবাসী মৃত ইউসুফ আলী খানের বড় ছেলে মোঃ আগা খান।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য পাঠে আগা খান বলেন আমার ছোট ভাই মৃত আজম খান ২০২০সালে রংপুর প্রিজন সেলে সিভিল জেল খাটা অবস্থায় মারা যায়।দিনাজপুর শহরের মালদাহপট্রি উওরা ব‍্যাংক শাখায় আজম খানের অর্থাৎ আমার ছোট ভাইয়ের ১১কোটি৭১লক্ষ টাকা লোন ছিল।লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় সে ক্লাসিফাইড হয়।দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ীতে তার১৬৪শতক সম্পত্তি এবং রাজবাটিতে ১৯৯শতক ও একটি অটোরাইস মিল রয়েছে।যা যুগ্ম জেলা জজ আদালত দিনাজপুর হতে গত ২০২১ সালে পরপর তিনবার নিলাম হয়।১ম এবং ২য়বার নিলাম খরিদদার পাওয়া যায় নাই।পরবর্তীতে আমি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ  দিনাজপুর জেলা  শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর ছেলে আজিজুল ইকবাল চৌঃ সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে নিলাম খরিদ করি।।উল্লেখ‍্য যে আমার ছোট ভাই আজম খানের স্ত্রী রুমানা ফেরদৌসী আমার ভাইয়ের মৃত‍্যুর পূর্বেই ছোট ভাইকে তালাক দিয়ে ছোট ছোট দুই সন্তানকে রেখে বাপের বাড়ী চলে যায়।ভাইয়ের মৃত‍্যুর পর সম্পত্তির মোহে এসে পারিবারিক দ্বন্দে লিপ্ত হয়। বৈধভাবে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ৪১/১৭ অর্থঋন ও ডিগ্রীজারী মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ও ব‍্যবস্থাপনায় নিলাম খরিদের পর ব‍্যাংক আমার ও ইকবাল চৌধুরীর নামে তফসীল বর্নীত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি প্রদান করেন।অতঃপর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হতে আমাদের নামজারী হয়,ডিসিআর হয় এবং খাজনা পরিশোধ করি।অতঃপর সম্পত্তি ১০/১২জনের কাছে বিক্রি করি এবং কারো কারো সাথে বায়না রেজিষ্ট্রি করি।পরবর্তীতে আজম খানের স্ত্রী রুমানা ফেরদৌসী হাইকোর্টে ৫রিট দাখিল করে।হাইকোর্ট তাকে বারবার টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার পরেও লোন পরিশোধ করতে না পারায় ও আইনী জটিলতায় এখনও আদালতে ২৯৫/২০২২নং রিট হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।রুমানা ফেরদৌসী জেলা যুগ্ম জজ আদালতের মাধ‍্যমে নিলাম সম্পন্ন হলেও তিনি রিটের মামলায় সেই তথ‍্য গোপন করেছে।এরকম অনেক তথ‍্যই গোপন করে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।যা কখনোই সম্ভব নয়।মিথ‍্যে দিয়ে কখনোই সত‍্যকে ধামাচাপা দেয়া যায় না।ক্ষমতা সন্ত্রাসী দ্বারা সাময়িক সম্পত্তি ধরে রাখলেও এটা চিরস্থায়ী নয়।এছাড়াও দিনাজপুর শহরে খান হোটেল নামে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে যেটা দুই ভাইয়ের নামে অথচ গুন্ডা প্রকৃতির মহিলা রুমানা ফেরদৌসী এককভাবে সম্পূর্ন হোটেল দখল করে আমাকে বেদখল করেছেন।১৮জুলাই দিনাজপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আগা খান আরো বলেন যে বর্তমানে আমি ও নিলাম খরিদদারের কাছ থেকে যারা বৈধভাবে সম্পত্তি খরিদ করেছেন তাদের যে কাউকে যে কোন সময় খুন জখম করতে পারে বলে আশংকা করছেন।ইতিমধ‍্যে রুমানা ফেরদৌসী অভিভাবকত্বের মামলায় হেরে গিয়েছে এবং উওরাধিকারীত্বের মামলাও হাইকোর্টে বিচারাধীন।তদুপরি রুমানা ফেরদৌসী সংবাদ সম্মেলনে মিথ‍্যে ও মনগড়া তথ‍্য উপস্থাপন করে সত‍্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।এছাড়াও অন‍্যায়ভাবে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ‍্যে বিভিন্ন সময় তার সন্ত্রাসী দ্বারা ব আইনী কর্মকান্ড চালিয়ে অন‍্যায় দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।  আদালতের নির্দেশে বৈধভাবে  ব‍্যাংকের নিলামকৃত সম্পদ ক্রয়ের পরও আমরা আমাদের সম্পত্তির ভোগদখল থেকে বঞ্চিত এবং নানারকম হয়রানীর স্বীকার হচ্ছি।অনতিবিলম্বে এই কুচক্রি মহিলার কুচক্র থেকে পরিত্রান পেতে সাংবাদিকদের সহোযোগিতা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আগা খাঁন ও তার সাথে নিলামে খরিদকৃত সম্পত্তির অন‍্যান‍্য মালিকগন।সংবাদে সম্মেলনে আগা খাঁনের সাথে উপস্থিত ছিলেন রক্তিম বশাক,কামাল বাচ্চু সহ  নিলামে সম্পত্তি ক্রয়ের  একাধিক ক্রেতা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024