মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট বেড়িবাঁধে জাইকার অর্থায়নে ২২ কোটি টাকা টেকসই বেড়িবাঁধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সকল অনিয়মের মূল হোতা এসও আলমগীরের দূরভিসন্ধী ও কাজের ধীরগতি এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। গত শনিবার ২২শে ২৩ ইং জুলাই সকাল ৯টার দিকে নিম্নমানের বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান স. ম সেলিম রেজা মিলন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপকূলবর্তী মানুষের বাধার মুখে এসও আলমগীরের দুর্নীতি, অনিয়মের শেষ রক্ষা হয়নি বলে জানা গেছে।

 

আমাদের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা বিভূতিভূষণ রায়, শুকলাল মন্ডল, স্বপন মন্ডলসহ আরো অনেকে জানান। বিগত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বিভিন্ন দুর্যোগে এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা বিবেচনা করে জাইকার অর্থায়নে ৪ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু উক্ত বরাদ্দকৃত টাকা নিম্নমানের বালু দিয়ে ব্লক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া নির্মাণ কাজটি ৩০ মে ২৪ ইং সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগামী ২৫ সালের মাঝামাঝিতেও শেষ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৪ কিলোমিটার টেকশই বেড়িবাঁধে ২ লক্ষ পিস ব্লক তৈরির কথা থাকলেও ২৩ সালের শেষ পর্যায়ে এসে মাত্র ১২ হাজার পিস ব্লক তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

কাজের ধীরগতি গুণগতমান সিডিউল অনুযায়ী না হওয়ায় আশাশুনি সদর ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম বিআইজেডসিএএন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট পাউবো’র কর্মকর্তার যোগসাজশে এ অনিয়ম দেখা দিয়েছে বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান বলেন, দয়ার ঘাট বেড়িবাঁধের কাজে অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নিম্নমানের বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করার কারণে আপাতত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মিলন বলেন, টেকশই বেড়িবাঁধ আশাশুনি উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি। কিন্তু জাইকার অর্থায়নের বরাদ্দকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদার যথা-যথভাবে কাজ করছে না।

 

গত শনিবার সকালে ব্লক তৈরীর কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিম্নমানের বালু দিয়ে ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত এসও আলমগীর বলেন, সরকারি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধ কেন? পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি করার কোন লোক নেই কেন এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোন লোক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে যান।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024