|
Date: 2023-07-24 05:56:26 |
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের দিয়ারকালিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র নিরব, টাইগার মুরগী পালন করে ৪৫ দিনে আয় করেন ৬০থেকে৭০ হাজার টাকা
এছাড়া নীরবের ৪৫ দিনে সবমিলিয়ে ফার্মে ব্যয় হয় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিপরীতে আয় হয় ২ লক্ষ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে ৪৫ দিনে আয় হয় ৬০থেকে৭০ হাজার টাকা।
নিরবের বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ও গৃহিণী মার সংসারে চার ভাইবোনের মধ্যে নীরব সবার বড়। সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া স্কুলের গন্ডি পেরোনো তরুণ নীরব সেখ ছোট বেলা থেকেই উদ্যমী, কর্মমুখী ও নিজের প্রয়াসে কিছু করার চেষ্টা তার। ২০১৮ সাল থেকে যখন থেকে নীরব ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র তখন আশেপাশের কিছু খামার থেকে বাড়ির গরু লালন পালনের ঘরে কিছু মুরগী পালনের ইচ্ছে পোষণ করে সে। শুরুতে ৮০ হাজার টাকা পুঁজিতে ৮০০ সোনালী মুরগী দিয়ে মুরগীর খামার শুরু করলেও প্রথমেই ২৩ হাজার টাকা লস হয় নীরবের। কিন্তু দমে থাকার পাত্র সে নয়। বাবা মায়ের সাহসে আবার পূর্ণদ্যমে সে খামার শুরু করে। একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুকের কল্যাণে সে জানতে পারে টাইগার মুরগীর কথা। তারপরেই সে নিজ উদ্যোগেই চট্রগ্রাম থেকে সংগ্রহ করে টাইগার মুরগী। এভাবেই একাগ্রতা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে ওঠে স্বপ্নের নীরব টাইগার পোল্ট্রি ফার্ম। মূলত এই খামারে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২৫০০ টাইগার মুরগী রয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার টাইগার মুরগী উৎপাদনক্ষম। যা থেকে ৪৫ দিনে নীরব আয় করে ৬০থেকে৭০ হাজার টাকা। এই টাইগার মুরগীর ডিম থেকে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ২১ দিনে বাচ্চা ফুটিয়ে সেই বাচ্চা বিক্রি করেই হয় মূল আয়। পাশাপাশি ডিম ও বড় মুরগী বিক্রি করেও হচ্ছে আয়। টাইগার মুরগী ৪০থেকে৪৫ দিনে ওজন ১ কেজি হয়। পাশাপাশি এই মুরগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়ায় স্বাচ্ছন্দে পালন করা যায়। নীরব তার ফার্ম থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ এর অধিক ডিম সংগ্রহ করে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ফার্মকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলে বেশ খুশী নীরব। সেই সাথে তার কাজে বাবা-মার পূর্ণ সমর্থন পেয়ে উৎফুল্ল সে। নিজেকে সফল উদ্যোক্তা না ভেবে সামনে তার এই স্বপ্নের খামারকে আরও বড় করে গড়ে তুলতে চাইলেন সকলের দোয়া পাশাপাশি যারা নতুন শুরু করতে চাচ্ছে তাদের স্বল্প থেকে শুরু করার পরামর্শ দিলেন তিনি।নীরবের এই সাফল্যে খুশী তার বাবা-মা। ছেলেকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তারা। নীরবের কর্মমুখী পরিশ্রম ও একাগ্রতায় গর্ববোধ করেন তারা। নীরবের কাজে সব সময় সহযোগিতা থাকে তাদের। সেই সাথে ছেলের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সকলের দোয়া চাইলেন তারা।
এলাকাবাসী বলেন, নীরব এখন রোল মডেল। তাকে দেখে অনেকেই এমন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অনেকেই নিচ্ছেন তার কাছ থেকে পরামর্শ। এতো অল্প বয়সেই একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ায় গর্ববোধ করেন নীরবের গ্রামের মানুষ ও তার স্বজনেরা।
© Deshchitro 2024