পরিত্যক্ত পলিথিন ক্রয়ের উদ্যোগটি  একটা মডেল, এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে-বন ও পরিবেশ মন্ত্রী


মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত পরিত্যক্ত পলিথিনের হাট অনুষ্ঠান পরিদর্শনে আসেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এমপি।

মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে প্রতি সপ্তাহে একদিন মৌলভীবাজার পৌর মেয়র চত্বরের সামনে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান (ড্রেন, রাস্তা, হাটবাজার, বসতবাড়ী ইত্যাদি) থেকে সংগ্রহকৃত পরিত্যক্ত পলিথিনের হাট বসে।

প্রতি সপ্তাহের ন্যায় চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হওয়া হাট অনুষ্ঠান পরিদর্শন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, পৌরসভার উদ্যোগে পরিত্যক্ত পলিথিন ক্রয়ের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়, এটা একটা মডেল, এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

মন্ত্রী পলিথিন বন্ধে নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন উপকূল অঞ্চলের ৮টি জেলার ৪০টি উপজেলায় পলিথিন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে করা হবে। 

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে পলিথিনের হাট পরিদর্শন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার রাজনগর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এমপি, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান প্রমূখ।

পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, হাটবাজার, দোকান, বাসাবাড়িতে বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে ছোট-বড় প্রচুর পরিমাণ পলিথিন পরিত্যক্ত হচ্ছে। মাছ, সবজি, মনিহারি, স্টেশনারিসহ প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে একেকটি পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া চিপস, চানাচুর, বিস্কুটসহ শুকনো খাবারের প্যাকেটও তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পলিথিনে। এসব পলিথিন রাস্তায়, পানিনিষ্কাশনের নালা-নর্দমাসহ যেখানে–সেখানে ফেলা হচ্ছে। এতে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। নালার পানিনিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে।বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ঝড়ো বাতাস হলে রাস্তায় ফেলে রাখা পলিথিন উড়ে গিয়ে পথচারীর নাকেমুখে লাগছে। কোনোভাবেই যত্রতত্র পলিথিন ফেলা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই বাস্তবতায় শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, জলাবদ্ধতা রোধ করা এবং সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে পৌর পরিষদ পরিত্যক্ত পলিথিন কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মেয়র ফজলুর রহমান আরো বলেন, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব শহর গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে দোকান, রাস্তা, ড্রেন, বাসাবাড়িসহ সব জায়গা থেকে সংগ্রহ করা যেকোনো ধরনের পলিথিন আমরা কেনা শুরু করেছি। আমরা শহরকে পরিত্যক্ত পলিথিনমুক্ত করতে চাই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধতামুক্ত করতে চাই। সামগ্রিকভাবে পরিবেশ রক্ষা করতে চাই।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024