বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শ্রীধরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত আইন উল্লা’র পুত্র প্রবাসী আশিক আলী বাদী হয়ে ২৪ জুলাই রাতে একই গ্রামের ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন। যার নং ৮।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত লালু মিয়ার পুত্র সজিব আলী ওরফে মুসা, মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র সেবুল আলী, শাহজাহান সিরাজের পুত্র রেজা আলী, আলী হোসেন, সুজাত মিয়া, মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র শাহজাহান সিরাজ, সুন্দর আলী, মৃত সোনাব আলীর পুত্র শাহাবউদ্দিন, ছামিরউদ্দিন, মৃত আনফর আলীর পুত্র নজির মিয়া, মৃত মখাদ মিয়ার পুত্র গিয়াসউদ্দিন, গিয়াসউদ্দিনের পুত্র সাহেল মিয়া, শাহাবউদ্দিনের পুত্র রুহেল মিয়া, মৃত লালু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ সমতা বেগম, শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী রেজিয়া বেগম, সেবুল আলীর স্ত্রী আয়শা বেগম।

 অভিযুক্তদের মধ্যে মৃত আনফর আলীর পুত্র নজির মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মামলার এজাহার বাদী আশিক আলী উল্লেখ করেছেন, বাড়ির জায়গা সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাদীর সাথে বিবাদীদের দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীগণ মামলার বাদী গংদের মারপিট, খুন-জখমের পায়তারা করে আসছে। এর জের ধরে গত ২৩ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে বাদীসহ মামলার কয়েকজন সাক্ষীসহ সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি আসার পথিমধ্যে বিবাদীদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।

কথাকাটাকাটি শেষে যে যার বাড়িতে চলে যান। এরপর মামলার ৬নং অভিযুক্তের (শাহজাহান সিরাজ) হুকুমে সব বিবাদীগণ তাদের বাড়ি থেকে ধারালো রামদা, বটি, লোহার রড, জিআই পাইপ, সাবল, কাঠের রোল ও লাঠি-সোঠা ইত্যাদি হাতে নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে মিলিত হইয়া বাদীর বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে মামলার সাক্ষী সংবাদকর্মী ছালেক উদ্দীন, মিছবাউদ্দিন, আল-আমিনসহ বাদীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।

হামলার খবর পেয়ে সাক্ষী শাকিল আলী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ তার (শাকিল) উপরও হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারী সাক্ষী লিটন আলী ও এসএম জহিরুল ইসলামের উপর হামলা করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া হামলাকারী বাদীসহ সাক্ষ জাহির আলী, আল-আমিন, লোকমান আলী, রিপন আলীকে এলোপাথারি মারামারি মারধর করে নিলাফুলা জখম করে। হামলার সময় বিবাদীগণ মামলার বাদী ও ১নং সাক্ষী ছালেক উদ্দিনের বসঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ১০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।

এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও একজনকে গ্রেপ্তার করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত নিউজে উল্লেখ :

বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের  সদস্য ছালেক উদ্দিনের উপর পরিকল্পিত  হামলা, আহত-৭, গ্রেফতার -১ 

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাধীন শ্রীধর পুর নিবসী বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের  সদস্য ছালেক উদ্দিনের উপর পরিকল্পিত  হামলার খবর পাওয়া গেছে। 

গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে ছালেক উদ্দিনের উপর  হামলাকারী গংরা দেশীয় অস্র- সস্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ছালেক উদ্দিনের চিতকার শুনে   এগিয়ে আসলে প্রতিবেশী মিছবাহ উদ্দীন,লিটন মিয়া,আশিক আলীও হামলার শিকার হন। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দিকে অগ্রসর হলে রাস্তায় ডাঃ জহিরুল ইসলাম ও শাকিল আলী হামলাকারীর অস্রের আঘাতে মারাত্মক জখমি ও আহত হন।

পরে আত্বীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত  আহতরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,শ্রীধর পুর এলাকার সজীব আলী হোসেন,রেজা,সুজাত ও শাহজান সিরাজ গংরা এ হামলার ঘটনা ঘটায়।

ঘটনাস্থলে ছালেক উদ্দিন পরিবারের জার্মান শেপার্ট নামের প্রশিক্ষিত কুকুরটিকেও হত্যা করা হয়।