নিউজ ডেস্ক: 


ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতকে ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তাকে ছয় ডাকাত ধর্ষণ করেছে। ডাকাতেরা তার পাশাপাশি অন্য আরেক নারীর ওপরও চালিয়েছিল নির্যাতন।

 

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রুমা খাতুনের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।


যাত্রীদের হাত, মুখ ও চোখ বাঁধেন। পরে মেয়েদের বেঁধে ফেলেন। মোবাইল ফোন, গয়না, টাকাসহ সব লুট করে নেন। এ সময় অনেককে মারধর করেন তারা। একপর্যায়ে তারা আমার হাত-মুখ-চোখ বেঁধে পালাক্রমে ছয় ডাকাতই ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় ধস্তাধস্তির মধ্যে ভুক্তভোগীর হাত ও চোখের বাঁধন খুলে যায়। কিন্তু এ সময় তিনি কিছু করতে পারেননি।




তিনি আরো বলেন, একপর্যায়ে গাড়ির গতি কমে এবং ডাকাতেরা নামতে থাকেন। একসময় হঠাৎ ডাকাত দলের চালক গাড়ির জানালা দিয়ে নেমে যান। এ সময় গাড়ি খাদে পড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসেন উদ্ধার করতে।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাস্তায় কাঁধে ব্যাগ বহনকারী ১০-১২ জন যাত্রী বাসে ওঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রী বেশে থাকা ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মারধর, ডাকা‌তি ও ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।


এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভো‌রে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থে‌কে রাজা মিয়া (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে জেলা গো‌য়েন্দা পু‌লিশ (ডি‌বি)। রাজা কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে তিনি চলন্ত বা‌সে ডাকা‌তি ও ধর্ষণের কথা স্বীকার ক‌রেছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024