অন্ধকার ঘরে বিছানায় নিথর পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত নাজমা খাতুন। মাকে ডেকে সাড়া না পেয়ে ভয়ে দরজার পাশে দাড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিল তাঁর শিশু সন্তান। স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ১নং ত্রিবেনী ইউনিয়নের পাদমদী গ্রামে।


নাজমা খাতুন পদমদী গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের মেয়ে। তাঁর স্বামী রইচ মন্ডল চর ত্রিবেনী গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।


জানা গেছে, ২৮ বছর আগে নাজমার সঙ্গে রইচের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নাজমা বাবার বাড়িতে থাকতেন। রইচ ঢাকায় তারেক নাম ধারন করে একটি পোশাক কারখানায় (মণ্ডল গ্রুপ) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।


নাজমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, কোরবানির ঈদের আগে জানতে পারে  রইচ ঢাকায় বিয়ে করেছে। এরপর থেকে নাজমার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। তিন দিন আগে রইচ বাড়িতে আসেন। গতকাল রাতে তারা নাজমার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেন। সাড়া না পেয়ে একই এলাকার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শাহানাজকে জানান। শাহানাজ রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নাজমার বাড়িতে যান। দেখেন তাঁর শিশু সন্তান কান্নাকাটি করছে। বিছানায় নাজমার গলাকাটা মরদেহ পরে আছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।


শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে নাজমার স্বামী পলাতক। হত্যার আগে তাঁকে চেতনা নাশক খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024