পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে মোস্তাফিজুর রহমান (২৭) নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে ছয় দিন ধরে

অনশন করছেন এক তরুণী (২৫)। গত শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক।


প্রেমিক মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের মোখলেছ হাওলাদারের ছেলে এবং অনশনরত তরুণী বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মহাবাস গ্রামের বাসিন্দা। সে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী তরুণী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় তারা। এরপর ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে অভিযুক্ত প্রেমিক মোস্তাফিজ। এক পর্যায়ে গত ৩০ জুন বিয়ের দাবিতে মোস্তাফিজের বাড়িতে যায় ওই তরুণী। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন ও মোস্তাফিজের স্বজনরা এক মাসের মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এক মাস পর ওই তরুণীকে নিয়ে পটুয়াখালীতে সালিশ মীমাংসায় বসে উভয় পক্ষের স্বজনরা। সেই বৈঠকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই তরুণীকে সম্পর্কের কথা ভুলে গিয়ে নিজ বাড়ি চলে যেতে বলে। এতে ওই তরুণী রাজি না হয়ে বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মুস্তাফিজকে বিয়ে করতে না পারলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই তরুণী।

পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রেমিক মোস্তাফিজুর রহমানের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের কোন সম্পর্ক নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে।

মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024