|
Date: 2022-09-19 08:56:47 |
◾ নিউজ ডেস্ক
মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন লবণ চাষিরা। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতায় রেয়াতি সুবিধায় সহজ শর্তে এ ঋণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, সমুদ্র উপকূলীয় যে সব এলাকায় লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত) রেয়াতি সুদে হার ঋণ দেওয়া হবে।
প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে লবণ চাষের জন্য একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে। যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা রয়েছে তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিল করা দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিত লবণ হাইপোথিকেশনের বিপরীতে রেয়াতি সুদে ঋণ পাবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।
১০ টাকায় খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণচাষিদের সনাক্তকরণের অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।
বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোন ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ পাবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংকগুলোর রেয়াতি সুদে বিতরণ করা ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের পর ঋণ হিসাবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪ শতাংশ হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।
দাখিল করা দাবি ন্যূনতম ১০ শতাংশ ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাই করে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব হতে ব্যাংকগুলোকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। তবে কোন ঋণ হিসাবে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করলে ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশানা লবণ চাষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে- জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
© Deshchitro 2024