সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা ঘোষণার আওতায় ৬৪টি পরিবারের মধ্যে দলিল ও ঘরের চাবিসহ উপজেলায় মোট ৫২৩ পরিবারের মধ্যে এই ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।


৯ আগস্ট (বুধবার) সকালে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ হলরোম মিলনায়তনে আশ্রয় কেন্দ্র-২ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ পরিবারের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এরফানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল বশর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ জহির, জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আহমদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


Teknaf Pic A 2 09 08 23 TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে টেকনাফের ৬৪টিসহ সারাদেশে মোট ২২হাজার ১০১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্য্যক্রমের উদ্বোধনসহ টেকনাফকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলায় ৫২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারসহ সারাদেশে ৮,২৯,৬০৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল জমি ও গৃহ এবং ৪১লক্ষ ৪৮হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা যা বলেছিলেন তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। 


এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান টেকনাফের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৪টি পরিবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ বাড়ী দিয়ে আবারও রেকর্ড বুকে নাম লেখালেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের কোন দেশেই এরকম সুযোগ সুবিধা নাই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই শেখ হাসিনার একমাত্র লক্ষ্য।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান সভাপতির বক্তব্যে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এক-একটি ঘর যেন স্বপ্ন পূরণের গল্প। যদি কেউ উক্ত ঘর বিক্রি বা ব্যবহার না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ###

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024