মাঝে মধ্যে নিজের নিয়ন্ত্রণ নিজেই হারিয়ে ফেলি। নিজেকে অভিশপ্ত শয়তানের হাতে সপেদি। সে নিজের ইচ্ছা মতো আমায় ব্যবহার করে ছুড়ে মারে বহুদূর। তখন আর কিছু দেখতে পাই না। সব কিছুতে আঁধার বিরাজ করে। হৃদয়ে প্রশান্তির জায়গা দখল করে অশান্তির পোকাগুলো বাসা বাঁধে। অস্থিরতায় মন চটপট করে। এভাবে চলতে চলতে যখন ওযু করে নামাযে দাঁড়ায়, তখন পুরো আত্মায় সুখ ছড়িয়ে পড়ে। খুঁজে পাই আলোর  ফোয়ারা। কি চমৎকার পরিবর্তন! নামাযে দাঁড়ানোর সাথে সাথে হৃদয়ের আকাশে শীতল বৃষ্টি শুরু হয়। তখন প্রশান্তি অনুভব করি আর অনুতপ্ত হই, খুব লজ্জিত হই রবের কাছে। লজ্জায় মুখ ফেঁটে যাওয়ার মতো। সব লাজ মাড়িয়ে দু'হাত তোলে রবের কাছে পানা চাই! নানা আকুতি আর বিনতী করি গভীর ধ্যানে। মালিকের  সাথে কথা বলতে থাকি অশ্রু আসা পর্যন্ত। ইচ্ছা মতো কান্না করি।  তবুও মনে হয় গোনাহ এখনো লেগেই আছে এ কলবে।কতো গোনাহ করেছি হে দিন দুনিয়ায় মালিক! আপনিই তো আমার শেষ ঠিকানা, আমাকে ক্ষমা করেদিন। আমি সব গোনাহ থেকে তাওবাহ করছি। এখই ফিরে আসছি গুনাহের পথ হতে। জীবনে আর গোনাহের কাজ করবো না। মা-লি-ক....!  আমিই বড় পাপী, আমিই সবচেয়ে বড়   আপনার নাফরমান বান্দা! তবুও ভিকারির মতো ক্ষমার দু'হাত তুলেছি।  আপনার রহমতের ছায়ায় আমাকেও আগলে রাখুন। আমার আত্মায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করুন।



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024