কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই সড়কের অলিগলি মহাসড়কসহ  যাত্রীবাহী তিন চাকার যানবাহনে ছুটছেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ চালকরা। ওস্তাদ (চালকের) কাছ থেকে শিখে লাইসেন্স ছাড়াই তারা বসছেন চালকের আসনে। অদক্ষদের হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। অনেক যানবাহন মালিকরা দেখে শুনে এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতেই তুলে দিচ্ছেন চাবি।

সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলার   অলিগলি সড়ক  মহাসড়কেই তিন চাকার যানবাহন  বিটেক,মাহিন্দ্র, সিএনজি,ব্যাটারি চালিক অটো রিকসা,টমটম, যেন চোখে পড়ার মত।এমনকি  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের অলিতে গলিতে মাহিন্দ্র,  টমটম, ও অটো রিক্সার পাল যেন দেখার কেউ নেই।  প্রায় চালক যেন ওস্তাতদের কাছ থেকেই শেখানো। এসব যানবাহনের নেই কোন লাইসেন্স। ঝুঁকি নিয়ে শিশু-কিশোর চালকরা চালাচ্ছেন গাড়ী।

যাত্রীরা জানান, সড়কে  অল্প বয়সী তরুন চালকের সংখ্যা বেশি। ঝুঁকি জানার পরেও এসব গাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছি। করার কিছু নেই।

কয়েক তরুনরা জানান, মহাসড়ক ও উপ সড়কের সবখানে অদক্ষ-অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের ছড়াছড়ি। তারা অনেক দ্রত গতিতে গাড়ি চালায়। সড়কে দাঁড়ানো যাত্রী তুলতেই হঠাৎ ব্রেক দেয়। এতে অনেক যাত্রীর সমস্যা হয়। এছাড়া গাড়ি খালি থাকলে উল্টো পথের যাত্রী নিতে এদিক ওদিক না তাকিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। যাতে করে সড়ক দুর্ঘটনার শংকা রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কিশোরেরাও রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়, যাত্রীরা সাবধান করলে তারা শুনেনা। এসব তরুন চালকদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান।

অভিজ্ঞ চালকরা জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে গাড়ি চালানোর পক্ষে নন তারা। তাছাড়া পেশার প্রবণতা হচ্ছে, লাইসেন্স ধারী, অভিজ্ঞ, দক্ষ চালকের সংখ্যা খুব কম। অল্প সংখ্যক থাকলেও তারা অদক্ষ চালকের কারনে দিশেহারা।

কিশোর,অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহীন চালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্হানীয়রা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024