সম্পর্কের ক্ষেত্রে "Age Doesn’t Matter" এ বিশ্বাসী মানুষদেরও বদলে যেতে দেখেছি। প্রথম প্রথম যে যতই বলুক ভালোবাসায় বয়সের পার্থক্যের কোনো স্থান নেই,একটা সময় ঠিকই এই বয়সের পার্থক্যটাই সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়!

একজন প্রাপ্তবয়স্ক আর একজন পরিপক্ব মানুষের মধ্যে বিস্তর ফারাক।মানুষ ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেই তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গন্য করে,আর পরিপক্বতার ক্ষেত্রে ১৮ কিংবা ৪০ বছর বা কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।

এখন একজন Matured মানুষ যখন অপর একজন Teenage কিংবা তার থেকে কম বয়সের ব্যবধানে সম্পর্কে জড়ায় তখন কিন্তু তার মতো একই স্বভাবের কিংবা একই মন-মানসিকতার আচরণ তার থেকে পায় না।আর না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

সম্পর্কের শুরুতে বয়স কোনো সমস্যা না হলেও,জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে গিয়ে এই বয়সের পার্থক্যটাই প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।প্রত্যেকটা মানুষের বয়সভেদে তার চাহিদারও পরিবর্তন হতে থাকে।আর বয়সের পার্থক্য হলে,পরস্পরের চাহিদায় মিল না থাকাটাও স্বাভাবিক।

একজন ২৮ বছরের তরুনের যে চাহিদা থাকবে,একজন ৩৫ কিংবা ৪০ ঊর্ধ্ব নারীর সেই চাহিদা থাকবে না।একই পার্থক্য আবার ২৮ বছরের তরুনী এবং ৩৫ কিংবা ৪০ ঊর্ধ্ব পুরুষের চাহিদার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

সম্পর্ক যদি মনের মতো এবং স্থিতিশীল রাখতে চান,তবে পরস্পরের চাহিদার মিল থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।এ ক্ষেত্রে নিজের বয়সে যে চাহিদা উপলব্ধি করেন,ঠিক সেই বয়সের কাছাকাছি কাউকে বেছে নেয়া উচিত। "বয়স কোনো বিষয় না" এ বিশ্বাসী হয়ে আবেগে গা ভাসিয়ে দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে,এর খেসারত আজীবন দিয়ে যায় যেতে হয়!

সত্যি বলতে,সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্যটাই আসল।নিজের বয়সে যে চাহিদা,যে প্রত্যাশা,এটা ঠিক নিজের বয়সের লোকের কাছেই আশা করা যায়।নিজের থেকে কম কিংবা নিজের থেকে বয়স্ক কারো কাছেই একই রকম মন-মানসিকতা কিংবা চাহিদা আশা করা যায় না।

লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং শিক্ষার্থী।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024