|
Date: 2022-09-21 14:12:00 |
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ গণির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত না হওয়ায় তার দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ফলে ভুমি অফিসে আসা এলাকার সাধারণ মানুষ ও অভিযোগকারীরা নানাভাবে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ গণি ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর, নামপত্তনসহ নানা কাজে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে আসছেন। কাঙ্খিত টাকা না পেলে নানা অজুহাতে কাজে আসা মানুষদেরকে দিনের পর দিন কাজ না করে হয়রানী করে থাকেন। এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার না হওয়ায় প্রতিবাদকারীরা যেমন হতাশ হয়ে পড়েছে, তহশীলদারও ততোধীক শক্তি সঞ্চয় করে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমনই একজন ভুক্তভোগি খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন। তিনি ২০২০ সালে পিরোজপুর মৌজার ২৯৪, ২৯০ ও ২৪২ হোল্ডিং এর ২৩৭/১, ১৪৬/১ ও ১৮০/১ নং খতিয়ানের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে ভূমি অফিসে যান। কিন্তু কাঙ্খিত অর্থ না দিতে পারায় কাজ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি ২২/০১/২০ তাং এসি (ল্যান্ড) অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রতিকার না পেয়ে ০৭/০৬/২০ তাং জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। প্রতিকার না হলে ১৮/০৮/২২ তাং বিভাগীয় কমিশনার খুলনা কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। না সেখান থেকেও কোন প্রতিকার গ্রহন করা হয়নি। বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ভোগান্তি শেষে দাবীকৃত ঘুষ দিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। এরপর ৩০/১২/২১ তাং নামজারি-জমা খারিজ মামলা (নং ২৯২৫ রী-১)/২০২১-২২) আবেদন করেন। কিন্তু আবারও পুরনো খেলায় ফেসে যান তিনি। বাধ্য হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবেদন না দিয়ে আবেদন খারিজ করা হয়। যেখানে কারন হিসাবে জমির দাগের সূচির সাথে মিল না থাকা উল্লেখ করা হয়। তখন বাদী রুহুল আমিন সূচিতে জমির দাগের ভুল সংশোধনের জন্য ১৮/০৫/২২ তাং আবেদন করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২০৬০ নং স্মারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রতিবেদন না দেয়ায় রুহুল আমিনের ছেলে আবু রায়হান এসি (ল্যান্ড) বরাবর প্রতিকার প্রার্থনা করে লিখিত আবেদন করেন। 'খ' তফশীলের জমি দাগের সুচির ভুল সমাধান হয়ে যাবে জানতে পেরে রুহুল আমিন অনলাইনে নাম জারির আবেদন ফি জমা দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন রিসিভড করেন।
উক্ত তহশীলদারের বিরুদ্ধে একই গ্রামের মৃত হাকিম সরদারের কন্যা রূপবান বিবি খাজনা দিতে গেলে দাখিলায় ৫৭ টাকা লিখে ৪০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং দ্রুত তাকে বদলী করে মানুষদেরকে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা করতে উর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল কুদ্দুছ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে মৌখিক খোজ নিয়েছি। নামজারির কাজটা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টির আপডেট জানানো হবে।
© Deshchitro 2024