আব্দুল মোমিন শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি

চলমান এইচএসসি পরীক্ষার আর মাত্র ৭দিন বাকী। এরই মধ্যে জানতে পারেন তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না। এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যানী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে। শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী রাফসান আহাম্মদ ও আলমগীর হোসেন চোখে মুখে হতাশা নিয়ে জানান, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (লিটন) স্যার আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। ভর্তির জন্য অতিরিক্ত টাকাও নিয়েছিল। বগুড়া শাহ সুলতান কলেজের বিষয়টি প্রকাশে আশায় অধ্যক্ষ আমাদের অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু টাকা দিয়ে আমরা কি করব। আমরাতো আর পরীক্ষা দিতে পারছিনা।  আমাদের জীবন থেকে ১টি বছর নষ্ট হয়ে যাবে।  এবারের মত আর প্রস্তুতি নিতে পারবো কি? 

জানা যায়, ২০২২ সালে  গোল্ডেন জিপিএ পাঁচ পেয়ে এসএসসি পাস করে, রাফসান এবং আলমগীর, ফয়সাল নামের তিন শিক্ষার্থী। যথারীতি তারা সরকারি পলিটেকনিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী ফয়সাল বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাফসান কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং আলমগীর নাটোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবার সুযোগ পায় এবং ভর্তি হয়। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারনে আর সেখানে পড়ালেখা করতে পারেনা। তখন শেরপুরের কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভর্তি বাতিল করে টাকা ও কাগজপত্র জমা দিতে বলে। এরই ধারাবাহিকতায় ভর্তি বাতিল করে ভর্তির জন্য কাগজপত্র এবং আট হাজার টাকা জমা দেয় অধ্যক্ষের কাছে। 
সেখানে একবছর ক্লাস করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে কলেজের বেতন পরীক্ষার ফি এমনকি ফরম ফিলাপের ফি প্রদান করেছে এই শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র নিতে গিয়েই বাজে জটলা। অধ্যক্ষ প্রবেশপত্র দিতে না পেরে ৭দিন পূর্বে তাদের জানিয়ে দেন ভর্তি জটিতলার কারণে তারা আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না 
শিক্ষার্থী রাফসান  জানায়, আমরা এক বছর ক্লাস করে সকল কিছু পরিশোধ করেছি। কিন্তু গত (১০ আগস্ট) অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক লিটন স্যার ডেকে নিয়ে বলেন যে তারা প্রবেশপত্র দিতে  পারবেনা তাদের নাকি রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। 
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাফসান আহাম্মদ ও আলমগীর হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা  জানান আমরাতো পরীক্ষা দিতে পারছিনা এ নিয়ে টেনশন আর হতাশায় ভুগছি। অন্যদিকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং অন্য কাউকে জানালে তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (লিটন)  বলেন, এই শিক্ষার্থীগুলো অন্য কলেজে ভর্তি ছিল। আমি কাগজপত্র বোর্ডে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সময় কম হওয়ার কারনে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে তাদের ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দতন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024