◾ড. মো. শাহজাহান কবীর : তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। তাহাজ্জুদের ফজিলত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করো; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৭৯) 


ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ী হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছিল তাহাজ্জুদ নামাজ। সাহাবিরা রাতের শেষ ভাগে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে চোখের পানি ঝরাতেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৭) 


মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লেখ করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।’ (মুসলিম)


 শেষ রাতে মানুষ যখন গভীর ঘুমে মগ্ন থাকে, তখন তাহাজ্জুদ আদায়কারীরা আল্লাহ তাআলার ভালোবাসায় নিদ্রা ত্যাগ করে জেগে ওঠে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বললেন, ‘তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা এটি তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মশীলদের অভ্যাস, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপকর্মের প্রতিবন্ধক।’ (তিরমিজি) 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023