মোঃ ফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা

লাউ ক্ষেতে কাকতারুয়া যেন জীবন্ত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমার কর্ম-দায়িত্ব পালনে বস কথা বলছিলাম আমার এক গ্রাহকের সাথে।  কথা বলার প্রায় শেষ পর্যায়ে বাম দিকে তাকালাম। দেখলাম জমির পাশে একটি জীবন্ত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘক্ষন। ভাবলাম হয়তো কোন দরকারে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাজ শেষে সামনে যেতে থাকি।  যাকে জীবন্ত মানুষ মনে করেছিলাম কাছে গিয়ে দেখলাম সে মানুষ নয় কাকতারুয়া।


বলছিলাম নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের হাসানোর গাঁও গ্রামের কথা। কাঁদা মাটির রাস্তা ঘেরা সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা সুন্দর গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ  মানুষ কৃষিজীবি। কৃষিকাজ করেই চলে তাদের জীবন জীবিকা।  এ গ্রামের অধিবাসি কৃষক প্রতাব হাজং তাঁর নিজের জমিতে লাউ চাষ করেছেন। লাউয়ের ফলন তেমন ভালো না হলেও সবার দৃস্টি কেঁড়েছে তাঁর লাউ ক্ষেতে স্থাপন করা কাকতারুয়া। দূর থেকে দেখলে  মনে হবে যেন জীবন্ত মানুষ। কথা বলার জন্য প্রতাব হাজংকে পাওয়া যায় নি। তার পাশের বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুমন জানান, ফসলি জমিতে কাকতারুয়া তৈরী করে দাঁড় করিয়ে রাখলে মানুষের খারাপ নজর ফসলে লাগে না। গ্রামের মানুষ এটা এখনও জানে না যে,কাকতারুয়া, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, দা,খুন্তি,কোদাল ইত্যাদি টানিয়ে রাখা কুসংস্কার। কাকতারুয়ার জন্য জমির ফসল ভালো বা নস্ট হয় না। সঠিক পরিচর্যা, উন্নতমানের বীজ,  রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করলে ভালো ফসলের আশা করা যায়। ভালো ফসলের জন্য কাকতারুয়া, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, ঝাড়ু, খুন্তি,জমিতে ঝুলিয়ে রাখলেই ভালো ফলনের আশা করা যায় না

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024