|
Date: 2023-08-31 07:55:04 |
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয় দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি টেকনাফ থানা পুলিশ। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে আশঙ্কার মধ্যে দিন পর করছে পরিবারের সদস্যরা।
গত ২৩ আগস্ট (বুধবার) সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া এলাকায় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই ছাত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া গ্রামে।
অভিযোগে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হোসেন আলী, সরওয়ার, হেলাল, মনোয়ার, রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মারিশবনিয়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে সাইকাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত হোসেন আলী। এই বিষয়ে হোসেন আলীর পরিবারকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। বুধবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাহারছড়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলজিইডি সড়কের কচ্ছপিয়া বড় কবরস্থান-সংলগ্ন এলাকায় বখাটে হোসেন আলী ও তার সহযোগী ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে অপহণের আট দিন পরও মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার। অপহৃত ছাত্রীর মা ফরিদা বেগম বলেন, ওইদিন বিকেলে আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নেয় হোসেন আলী ও তার সহযোগীরা। এখনও পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ খবর পাই নাই। থানায় অভিযোগ করেছি, কিন্তু তারাও কিছু করতে পারছে না।
পুলিশ বলছে, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। বর্তমানে ভুক্তভোগীর পরিবারকে অপহরণকারী হোসেন আলীর পরিবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পেয়েছি। এ কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে।
বাহারছড়া ৮ নম্বর ইউপি ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক। তবে এলাকার ঘটনা হিসেবে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
© Deshchitro 2024