যশোরের অভয়নগরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কাঠ-গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ১শ ১৩টি অবৈধ চুল্লি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। জব্দ করা হয়েছে ৬০ বস্তা কয়লাসহ একটি নছিমন ও ভ্যানগাড়ী।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের আমতলা ও সোনাতলা গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। চুল্লির আগুন নিভিয়ে ১৫জন শ্রমিক দিয়ে হাতুড়ি-শাবল দ্বারা চুল্লিগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় ছোট মিয়ার ৮টি, হাবিবুর রহমানের ৯টি, তসলিম মিয়ার ৫টি, আনারুল মোল্যার ৪টি মনির শেখের ৬টি, আলার ৫টি, ইয়াছিন শেখের ৪টি, কামরুল ফারাজীর ৭টি, ফারুকের ১০টি, রকশেদের ১৫টি, জিয়া মোল্যার ১১টি, নুর ইসলাম ওরফে ছোট মোল্যার ৬টি, হারুন মোল্যার ১০টি, কবির হোসেন শেখের ৮টি ও তৌকির মোল্যার ৫টি চুল্লি পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপন করে। যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিটি চুল্লিতে ২শ থেকে ৩শ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮-১০ দিন পোড়ানোর পর চুল্লি থেকে কয়লা বের করা হয়। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। যে কারণে এলাকায় শাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে উঠতি ফসলের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। অবিলম্বে এসবক অবৈধ চুল্লি মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ১শ ১৩টি অবৈধ চুল্লি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় ৬০ বস্তা কয়লাসহ একটি নছিমন ও ভ্যানগাড়ী জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে চুল্লি মালিকদের পাওয়া যায়নি। তবে তালিক তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান চলাকালে অভয়নগর থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল, ১৫ জন শ্রমিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024