বরিশাল নগরীতে নিয়ম নিতি তোয়াক্কা না করে ট্রাফিক পুলিশদের বীট মানি দিয়ে লাইসেন্স বিহীন কয়েক হাজার অবৈধ হলুদ আটোরিকসা, সিএনজি, মাহিন্দ্রা চলাচল করছে। এ কারনে বাড়ছে যানযটের অস্তিরতাসহ সড়ক দুর্ঘটনা, বরিশাল মেইন মেইন পয়েন্ট যেমন, নগরী নথুল্লাবাদ মোড়, চৌমাথা মোড়, লঞ্চঘাট মোড়সহ, রুপাতলী গোলচক্করে এতটাই যানযটের (জ্যাম) সৃষ্টি হচ্ছে যে, যেন সাধারন মানুষের চলাফেরার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার এপার-ওপার পেরিয়ে যেতে হয়। ট্রাফিক পুলিশকেও মানছে না এই বেপরোয়া হলুদ অটোচালকরা। তাছাড়া এই বেপরোয়া অসাধু হলুদ আটোচালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করাসহ, এমন কি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু করে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত । রুপাতলী থেকে লঞ্চঘাট ভাড়া ১৫ টাকা তার পরিবর্তে ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকা। আবার কেউ নিচ্ছে ২৫ টাকা। নথুল্লাবাদ  থেকে রুপাতলী  ভাড়া ১৫ টাকার পরিবর্তে নিচ্ছে ২০ টাকা। ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী মোঃ আশ্রাফ আলী জানান আমি আজ লাঞ্চ থেকে নেমে অটোতে উঠি রুপাতলী য়াওয়ার উদ্দেশে তখন অটোচালক বলেন ভাই ভাড়া দিতে হবে ১২০ টাকা গেল লন নাইলে নামেন যাত্রী আশ্রাফ আলী বলেন এটা কি মগের মূল্লুক নাকি ২০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা চাইছেন এক কথায় চালকের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয় এমন কি যাত্রী আর চালক হাতাহাতি ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায় এক সংবাদ কর্মিকে দেখে থেমে যায়। এক সূত্রে জানা গেছে বরিশাল শহরে বিগত কয়েক বছর ধরে লাইসেন্স বিহীন এ অবৈধ হলুদ আটোরিকসা চালাচল করে আসছে এমন কি বরিশাল নগরীর অলিগলিতে চষে বেড়াচ্ছে অবৈধ হলুদ অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, সিএনজিসহ ছোট যানবাহন গুলো। বরিশাল শহরে ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ংকর রুপ দেখা দিতে পারে এই অবৈধ ছোট যানগুলোর কারনে। এতে সাধারণ মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হিমশিম খাচ্ছে।বরিশাল শহরে হলুদ আটোরিকসা বানানো ওয়ার্কশপ  রয়েছে কয়েকশত এবং প্রতিটা ওয়ার্কশপে প্রচুর পরিমাণ হলুদ অটোরিকশা বানানোর কাজ চলছে, এতে নগরীতে বাড়তে পারে আরো কয়েক হাজার হলুদ অটোরিকসা। যার কারনে বাড়বে আরো যানযট আর চলাফেরার ভোগান্তিতে পরতে হবে সাধারন মানুষের।

 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024