ইরানে পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্থায় মাশা আমিনির মৃত্যুর এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দমনের প্রেক্ষাপটে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভ দমনের সঙ্গে যুক্ত ২৪ জনের বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 


শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার


এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিস এর ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বা এলইএফ, ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ জন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়।


এছাড়া ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শনিবার আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।


ব্রিটেন পৃথকভাবে তেহরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন ইরানি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিকনির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী, তার সহকারী, তেহরানের মেয়র এবং ইরানি পুলিশের একজন মুখপাত্র।


আমিনি একজন ইরানি কুর্দি নারী। হিজাব না পরার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই কারণে কয়েক মাসব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভ জন্ম নেয়, যা ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইরানি কর্তৃপক্ষের বিরোধিতার সর্ববৃহৎ প্রদর্শন।


নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে নাগরিকদের কোনো প্রকার লেনদেনে জড়িত হতে নিষেধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024