অসহায় নিরীহ এক ছেলেকে  কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে শারিরীক নিযাতন চালিয়ে অপরাধ সংঘটনের স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির ভিডিও ধারণ করে ক্ষতিপুরন আদায়ের নীল নকশা প্রস্তুতকারী আসামীদের বিরুদ্ধে অসহায় বাবার দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে ১ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীসহ দুই আসামীকে আটক করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন দিনাজপুর কোতয়ালী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ হোসেন।সাধারন মানুষের আস্থা ও ভরসার শেষ ঠিকানা যে পুলিশ আরো একবার তার যথাথ্ প্রমান দিলেন ওসি ফরিদ হোসেন এবং ভুক্তভোগীরাও ওসির তাৎক্ষনিক সহোযোগিতা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন।এবং বলেন আমরা কখনোই ভাবিনি থানায় এসে এতো তাড়াতাড়ি এক টাকাও ছাড়া এই সহোযোগিতা পাবো।এবং আল্লাহর কাছে ওসির জন্য দুহাত তুলে দোয়া করেন। প্রকৃতপক্ষেই নির্যাতনের শিকার নয়ন ও তার বাবা হোসেন আলী মানুষের বাসায় ক্ষেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।তাই তাদের পুলিশের কাছে যে পরিমান প্রাপ্তি ছিল তার থেকে অনেক বেশী কিছু পেয়ে সন্তুষ্ট তারা।দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের কুসুম্বি জামতলী গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায় তার ছেলে মোঃ নওশাদ হোসেন নয়ন ঢাকায় কর্মরত পুলিশ সদস্য কুসুম্বি জামতলী এলাকার রশিদুল ইসলামের বাসায় কাজ করে।একই এলাকার মোঃ রুস্তম আলীর ছেলে প্রধান আসামী মোঃ আনারুল এর সাথে রশিদুলের বাড়ির যাতা য়াতের রাস্তাকে কেন্দ্র করে দীঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো।এরই মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আনারুলের দুটি গরু মারা যায় এবং তার ধারণা গরু দুটি রশিদুল ইসলাম তার বাড়ীর কাজের ছেলে নওশাদ হোসেনকে দিয়ে বিষ খাইয়ে গরু দুটি মেরে ফেলেছে।এই সন্দেহের ভীত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ৯নং আশকরপুর ইউনিয়নের কুসুম্বী মাধ্যমিক আদশ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শফির উদ্দিনের চায়ের দোকানের সামনে থেকে হাসেন আলীর ভাতিজা কৌশলে নওশাদ হোসেন ও তার সাথে থাকা রাশেদুলকে ডেকে নিয়ে মোটর সাইকেলে তুলে এদিক সেদিক বসার কথা বলে বিকেল ৫টা৩০ মিনিটে রামসাগরে নিয়ে গিয়ে আনারুল ইসলামের ভাড়াটিয়া সাইদ,জিকো,আসাদুজ্জামান ভুট্টুসহ আট থেকে দশ জন নওশাদ ও তার সংগীয় রাশেদকে প্রচন্ড মারধর করে গরু মারার দায় স্বীকার করিয়ে; ভিডিও ধারন করে ৯নং আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।সেখানে চৌকিদার মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে আসামী ভুট্টুসহ তার সহযোগীদের বাকবিতন্ডতার সুযোগে কৌশলে সেখান থেকে নওশাদ পালিয়ে গিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।নিযাতনের স্বীকার নওশাদ বাসায় গিয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি বলার পর এবং তার বাবা শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তৎক্ষনাৎ এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শেষে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় গিয়ে মোঃ আনারুল ইসলামসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন ৯নং আশকরপুর ইউনিয়নের কুসুম্বি জামতলী এলাকার মোঃজুলফিগার রহমানের ছেলে মোঃ নেয়ামুল হক(৩০) ,পিতা অজ্ঞাত শিকদার হাট এলাকার আবু সাইদ(৩৬),নালাহার এলাকার মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ জিকো(৩০)একই এলাকার মোঃ শামসুল হকের ছেলে মোঃ দুলাল(৩০) এবং শিকদার হাট মাশিমপুর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আসাদুজ্জামান ভুট্রু (৪২)সহ অক্তাতনামা আট থেকে দশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং যাহার মামলা নাম্বার ৪০। এবং মামলা রেকর্ডের এক ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী আনারুল এবং আবু সাইদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024