আসামি মো. আমিনুল ইসলাম (২৫) ও মোঃ জহিরুল ইসলাম (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৩টায়  র‌্যাব-১ কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি  এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহের  হালুয়াঘাটের বোর্ডের বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন ছেলে মো.আমিনুল ইসলাম এবং একই জেলা ও উপজেলার নড়াইল এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে মো.জহিরুল ইসলাম।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুরের র‌্যাব-১ কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম জানান,গোপন সংবাদে গাজীপুরের সদরের সালনা বাজার ও বাসনের বারবৈকা এলাকায় পৃথক অভিযান

পরিচালনা করে দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার  আসামি মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। 

র‍্যাব আরও জানান গত ২ মার্চ জেলার দিঘিরচালা কমিশনারের গলির জনৈক সুমনের দোকানের ভাড়াটিয়া কাঞ্চন হাওলাদারের চায়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর অনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার  মধ্যে মো. কবির হোসেন (২৫)'কে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কবির হোসেনকে শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

পরে নিহতের বোন বাদী হয়ে বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর পরই পুলিশ তৎক্ষনিক ২

জন আসামি গ্রেফতার করলেও উক্ত ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যায় নেতৃত্বে থাকা আসামিরা ধরাছোয়ার বাহিরে চলে যায়।

পরবর্তীতে র‍্যাব তদন্তে নামলে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পায় যে, পলাতক

আসামি মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ জহিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত।তাদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। 


তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অদ্য আজ বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় সদরের সালনা বাজার ও বাসনের বারবৈকা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আসামি আমিনুল ইসলাম  ও জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। 

এক প্রশ্নের জবাবে কোম্পানী অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বলেন নিহত কবিরের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব

পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাজীপুরের বাসনের  দিঘিরচালা  কমিশনারের গলির কাঞ্চন হাওলাদার এর চায়ের দোকানের সামনে  কবিরকে একা পেয়ে ধারালো রামদা ও ছেনা দিয়ে উপর্যুপুরি কোপ দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। 


আটককৃত আমিনুল ইসলাম আরও স্বীকার করে যে, সে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রসমূহ একটি রেকেটের ব্যগের ভিতরে, বহন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়।তাদের বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024