|
Date: 2022-09-30 18:05:01 |
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে রাতে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে এমনই ঘটনা ঘটে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে। হঠাৎ জ্ঞান হারান উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ ওই আবাসিক হলে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের।
বিষয়টি নিয়ে ওই হলের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি জানান, ‘ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রী প্রায় আধঘন্টার বেশি সময় অজ্ঞান হয়ে ছিলেন। এসময় তার রুমমেটরা প্রভোস্ট, হাউজ টিউটরকে আট থেকে দশবারের বেশি ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করে নি। এ্যাম্বুলেন্সের জন্য মেডিকেলে ফোন দিলেও তাদেরকে পাওয়া যায় নি।
পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার বদরুলকে ফোন দিলে তিনি জানান, ‘প্রভোস্টের পারমিশন ছাড়া মেয়েদের হলে অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারবে না। পরে তার পরিচয় জানতে পেরে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হলে যেতে রাজি হন।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও জানান, ‘মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘুমচোখে প্রায় ২০ মিনিট পরে সেখানে উপস্থিত হন। এসেই প্রথম প্রশ্ন করেন, এটা প্রেম ঘটিত কোনো বিষয় কিনা। তারপর তিনি পালস না মেপেই তার সহকারীকে রোগীকে একটা ইনজেকশন দিতে বলেন। এসময় তার সাথে থাকা অন্যরা রোগীর পালস পরীক্ষা করতে বলবে অবশেষে তার পালস পরীক্ষা করা হয়। পালস রেট পাওয়া যায় ১০৬/৭২, যা নাকি স্বাভাবিক! এরপর নাপা ঔষধ খাওয়াতে চাই এবং একটি ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর তাকে হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অথচ পরে জানা যায়, তার পিরিয়ডের অতিরিক্ত ব্লিডিং জনিত কারণে এমন সমস্যা হয়েছিল।
এছাড়া, এর আগেও অপ্রতুল চিকিৎসক, চিকিৎসক স্টেশনে না থাকা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ না থাকা, জরুরি কল করলে কল না ধরা, কল কেটে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্ট স্যারদের সাথে কথা হয়েছে। আর কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৪ ঘন্টাই থাকেন।’ তবে অ্যম্বুলেন্স না যাওয়ার প্রশ্নে তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার জন্য হল প্রভোস্টের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।
© Deshchitro 2024