লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ব্যাপকর হারে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীসহ অন্যান্য রোগী। এতে ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে তৈরি হয়েছে প্রচুর শয্যা সংকট। ফলে ডেঙ্গু রোগী সহ সকল রোগী বারান্দা, সিঁড়ি রুম এমনকি ট্রলি উঠা নামার সিঁড়িতেও গণহারে সেবা নিতে হচ্ছে । পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ড সহ তিনটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু কর্ণার ঘোষণা করলেও গণহারে রোগী আসায় বারান্দা, সিঁড়িতে নিতে হচ্ছে সেবা। ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর বেডেই মশারী লাগানো হয়নি।এদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে হাসপাতালটিতে।

কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীর অভিযোগ,দেওয়া হয়নি মশারী। চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে বারান্দায় গনহারে। এতে ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।কুশাখালি থেকে আসা মোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি বেডে জায়গা না পেয়ে টয়লেটের পাশের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,হাসপাতালে পর্যাপ্ত মশারী রয়েছে। কিন্তু রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরার সময় মশারী নিয়ে যায়। অতিরিক্ত রোগী থাকায় লক্ষ রাখা সম্ভব হয় না। তাই দেখেশুনে মশারী দেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত মশারী রয়েছে। গত ২১-২২ অর্থবছরে ৩০০ টি মশারী ক্রয় করা হয়। এর মধ্যে মজুদ ছিলো ৯১ টি। চলতি ২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬০ টি মশারী ক্রয় করা হয়েছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান,৫০ শর্যার জনবল দিয়ে ১০০ শর্যার হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। এখনো ৪৮ টি পদ শূন্য হয়ে আছে। প্রতিদিন ৪০০ জনের মতো রোগী ভর্তি থাকে। এতে আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

জেলা সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের জানান,এখানে ৪০ জন ডাক্তার থাকলেও রয়েছে ২৩ জন। ১২ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৬ জন। এবং বিভিন্ন বিভাগের কনসালটেন্ট থাকলেও সরঞ্জাম নেই।

উল্ল্যেখ্য,২০১৭-১৮ সালে কাজ শুরু হয়ে ২৫০ শর্যার হাসপাতাল নির্মানাধীন থাকলেও ঠিকাদার জানান ২০২৪ সালের জুন মাসে ঐ ভবনের কাজ শেষ হবে।এই হাসপাতালের কাজ শেষ হলে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা লাগব হবে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।  

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024