|
Date: 2023-10-05 04:41:53 |
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠান পাবনার ঈশ্বরদীর প্ল্যান্ট সাইটে অনুষ্ঠিত হবে আজ। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র। রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভও রূপপুর সাইটে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসিও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
সরকারী সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্র প্রধানের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পারমাণবিক জ্বালানির সনদ ও মডেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগদান করার কথা রয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন এবং আরএনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান এবং পারমাণবিক জ্বালানির সনদ ও মডেল হস্তান্তরের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত। অতিথিরা চারটি পয়েন্ট থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ও বক্তৃতা দেবেন।’
এদিকে, ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ও দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৭ হাজার পেশাদারসহ ৩০ হাজার কর্মী কাজ করছেন। প্রকল্পটি প্রায় ৬০-৮০ বছর ধরে কাজ করবে। আরএনপিপির জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালানটি ২৮ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে আসার পর সড়কপথে সেটা প্রকল্প সাইটে নেওয়া হয়। রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম এটি নির্মাণ করে।
সূত্র জানায়, ১২শ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত আরএনপিপি প্রতিদিন ২৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি ফ্ল্যাশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে দেবে।
এদিকে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, আরএনপিপি দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে, ইউনিটের কাঠামোর মধ্যে চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে রূপপুর ইউনিট-১ প্রায় সম্পন্ন হয়। এটি এআইইএ-এর মান অনুযায়ী স্থাপন করা হয়। চুল্লি একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান। গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
© Deshchitro 2024