শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন' এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে নাচ গান ও মহামিলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল মধুপুরের পাহাড়ি জনপদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় উদযাপন করলেন 'আ"বিমা ফেস্টিভ্যাল-২০২৩

আ'বিমা'র এ কৃষিররাজ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গভীর অরণ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারো সম্প্রদায় বসবাস। 

আ'বিমা একটি আচিক বা গারো শব্দ। এর অর্থ মাটির মা। গারোরা ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুম চাষ করতো। তাদের পূর্বপুরুষেরা জুমের ফসল ফলনের দিক বিবেচনা করে মধুপুর অঞ্চলকে আ'বিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাটির উর্বরতার কারণে তারা মধুপুরের মাটিকে আ’বিমা অর্থাৎ মাটির মা বলে থাকে। 

প্রতি বছর মধুপুর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গারো জনগোষ্ঠীর ফসল কেটে ঘরে তোলার পর শস্য দেবতা ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে বিশেষ প্রার্থনা ও নাচ গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আ'বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন  করে থাকেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গারো জনগোষ্ঠীর আদি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সবাইকে স্মরণীয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আ'বিবা অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়।

গারো নারী পুরুষ ও শিশুকিশোরাব তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সেজেগুজে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে  তুলেন। আ'বিমা মেলা হয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাণের মেলবন্ধন। 

১৩ অঅক্টোবর শুক্রবার দিনব্যাপী মধুপুর উপজেলার মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রলয় নকরেক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন অজয় এ মৃ সভাপতি আ'বিমা কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেমন্ড আরেং সদস্য  কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা, আ'লীগের সভাপতি, এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা, আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশীদ হারণ, মধুপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক ,  সভাপতি জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, ইউজিন নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা মং  আ'বিমা ফেস্টিভ্যাল উদযাপন কমিটির আহবায়ক মি. নির্জন সিমসাং, সদস্য সচিব মি.পৌল সিমসাং প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্যন্ডদল শিল্পী আচিক ব্লুজ,  ব্রিং, দি রাবুগা, ব্লিডিং ফর সারভাইভাল ও স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী বৃন্দ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024