সৌদিতে ছেলের মৃত্যু, থামছে না বাবার কান্না


জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী হিসেবে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল চন্ডীগড়ের যুবক মোস্তফা কামাল (৩২)। এরই মধ্যে হঠাৎ স্ট্রোক করে তিন দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। যার উপর পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলো। এখন শুধু সামনে মরিচিকা ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না এ অসহায় স্বজন। এ ঘটনায় পুরো পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বইছে শোকের মাতম। কান্না থামছে না বাবা-মায়ের।


নেত্রকোনা অন্তর্গত দুর্গাপুর উপজেলা চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামে বাড়ি বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন।


পরিবার সূত্র জানায়, দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী হিসেবে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মোস্তফা। বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী, দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। এখন শুধু মুখে অসহায়ত্বের ছাপ!


প্রবাসী মৃত মোস্তফার চাচা 'মুমিন মিয়া' জানান, গত কয়েকদিন ধরেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নাই তার। পরে সৌদি আরবের আরেক প্রবাসী আত্মীয়র মাধ্যমে খোঁজ নিলে আজ বিকেলে খবর মিলে ভাতিজা মোস্তফা স্ট্রোক করে তিন দিন আগেই মারা গেছে হাসপাতালে। এখন সেখান থেকে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, এক বছর আগেও এক ছেলে মারা গেছেন। এর শোক কেটে উঠতে না উঠতেই আরেক ছেলের মৃত্যু! এই শোক সইতে না পেরে বাবা-মা'র কান্না যেন আর থামছেই না।


এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া জানান, এখন তাদের বাড়িতেই রয়েছি। মোস্তফার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় ভাসছে এলাকা। তাদের আহাজারিতে যেন বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।প্রবাসী মোস্তফার মরদেহ বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024