|
Date: 2022-10-04 17:18:47 |
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী ও বিহিত পূজা
ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে পাঁচদিনব্যাপী বাঙালি হিন্দু( সনাতন) হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু গত ১ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে দুর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা প্রশস্তা এবং সন্ধ্যায় দুর্গাদেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা, ৪ অক্টোবর মহানবমী বিহিত পূজা এবং ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন।
পঞ্জিকা মতে,১ অক্টোবর থেকে পূজা শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের এ উৎসব। ঢাকের বাজনা, আরতি আর উলুধ্বনিতে মুুখর হয়ে উঠবে চট্টগ্রামের পূজা মণ্ডপগুলো। রঙে-রূপে প্রতিমা সাজিয়ে তোলার কাজ শেষ। মণ্ডপসজ্জাও সমাপ্তির পথে। এখন অপেক্ষা উৎসব উদযাপনের। সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে শহর থেকে গ্রামে এখন থেকেই শুরু হয়েছে সাজসাজ রব। আর একদিন পরেই ধূপ, মঙ্গল প্রদীপ আর ঢাকের তালে মুখর হয়ে উঠবে সারাদেশের পূজামণ্ডপ।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথমে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তকালে তিনি এই পূজা আয়োজন করেছিলেন বলে এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাজা রাবণের হাত থেকে স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। তাই শরৎকালের এই পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়। বাঙালির হৃদয়ে শরৎকালের দুর্গার অধিষ্ঠান কন্যারূপে। প্রতিবছর বিভিন্ন বাহনে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী মর্ত্যলোকে আসেন বাপের বাড়ি বেড়াতে। তাই দেবীকে বরণে আয়োজনের কমতি থাকে না।
শারদোৎসবের আগমনী ঘণ্টায় শুভ্র শরতে-মেঘের পালকে সেজেছে প্রকৃতি। এবার কৈলাস থেকে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসবেন গজে। শাস্ত্রে আছে-দেবীর গজে আগমনে শস্যপূর্ণা হবে বসুন্ধরা। আর ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীর পূজা সমাপনান্তে দেবী নৌকায় কৈলাসে ফিরে যাবেন। শাস্ত্র মতো দেবীর নৌকায় গমনের মধ্যদিয়ে ফল-শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি ঘটে।
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই শারদীয়া দুর্গোৎসবকে আনন্দঘন করতে মহানগর এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে মহানগর পূজা কমিটি এবং জেলা পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় আশ্বাস দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপার। জাতীয় পূজা কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রশাসনের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন গতবারের মতো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেই উদ্বেগের কথাটি আমরা জানিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও সারাদেশে মণ্ডপে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে পূজার্থী জনগণ। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পূজার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে আমরা সবখানে আশঙ্কার কথা জানিয়েছি। সুন্দরভাবে পূজা হবে বলে সবাই আমাদের আশ্বস্থ করেছেন।
© Deshchitro 2024