ঘূণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয়জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র সৈকত।


আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপটি প্রতি ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিবেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। উপকূলের উপর দিয়ে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে। হামুন’ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে বাঁক নিয়ে ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে।



টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, প্রস্তুতিমূলক সভা করে সব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপকূল জুড়ে সতর্কতা জারি করে মাইকিংসহ বিপদ সংকেতের পতাকা টাঙানো হয়েছে। সব এলাকায় শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি।’


সেন্টমার্টিনে বীচ কর্মী জয়নাল বলেন ‘দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকরা সকাল থেকে সৈকতে গোসলে নামে। আবার অনেকে জেটি ঘাটসহ সৈকতে ঘুরাঘুরি করে। তাদের আমরা মাইকিং করে নিরাপদে থাকতে বলেছি। এছাড়া স্থানীয়দেরও নিরাপদ জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে।’



দ্বীপের বাসিন্দা সাদ্দাম বলেন, ‘সকাল থেকে থেমে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলেও প্রচন্ড বাতাশে গাছ-পালা ভেঙে পড়ছে। এখান ভাটা রয়েছে জোয়ারে আসলে, ভয়ও বাড়বে আমাদের। দ্বীপে অনেক পর্যটক রয়েছে তাদের কি অবস্থা হবে।’


সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষদের নিরাপদ জায়গায় থাকতে সকাল থেকে দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে। আমাদের এখানে ১০ হাজারের মতো লোক আছেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024