তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা যায়- কথাটি সত্য। সে তিনটি ক্ষেত্র হ’ল- দু’ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের নিকট (আবুদাঊদ হা/৪৯২১; তিরমিযী হা/১৯৩৭; মিশকাত হা/৫০৩১, ৫০৩৩; ছহীহাহ হা/৫৪৫)। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বার্থে সাময়িকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যায়।


যেমন মুশরিকরা তাদের উৎসবে শরীক হওয়ার জন্য ইবরাহীম (আঃ)-কে দাওয়াত দিলে তিনি না যাওয়ার জন্য বলেন, ‘আমি অসুস্থ’ (ছাফফাত ৮৯)। মূর্তি ভাঙ্গার পরে তিনি বড় মূর্তিকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, ‘বড়টাই তো একাজ করেছে। তাকে জিজ্ঞেস কর’ (আম্বিয়া ৬৩)। ইউসুফ (আঃ) ভাইদের রসদপত্রের মধ্যে ওযনের পাত্র লুকিয়ে রেখে ঘোষককে দিয়ে বলেছিলেন, হে কাফেলার লোকজন! তোমরা অবশ্যই চোর’ (ইউসুফ ৭০)। উল্লেখ্য, এগুলো প্রকৃত অর্থে মিথ্যা নয়, বরং ‘তাওরিয়াহ’। যা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য করা হয়ে থাকে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023