|
Date: 2023-11-05 11:24:47 |
◾ আলিফ শাহ : আজকের এই সময়ে ফিলিস্তিন তথা হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ টক অব দ্যা ওয়াল্ড।ইসরায়েলী হামলায় হাজার হাজার নিরীহ নারী ও শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। এই অন্যায় বা অনুচিত হামলার সঠিক তথ্য তুলে ধরছে একমাত্র আল জাজিরা টেলিভিশন।
যে পশ্চিমা বিশ্ব সারাক্ষণ মানবতার বুলি আওড়াতে থাকে,তাদের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া সমূহ বরং হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
তারা এমনভাবে সংবাদ প্রচার করছে,মনে হচ্ছে গাজা ভূখণ্ডে কোন সংঘর্ষই হচ্ছে না! কথিত মানবাধিকারের ঝান্ডাধারীদের নেতৃত্বদানকারী আমেরিকা তো এককাটি সরস।তারা কাতারের আমিরের কাছে অনুরোধ করেছে তিনি যেন আল জাজিরার কন্ঠ রোধ করেন।অথচ তারাই মানবাধিকার,বাকস্বাধীনতা ও সুষ্ঠসাংবাদিকতার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে।
৭ ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলী বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় ৩ য়ে নভেম্বর পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৩৮ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন।যার সিংহভাগেই আল জাজিরার।
এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আদ-দাহদুর পরিবারের ১২ সদস্য হানাদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় নিহত হন। এ হামলায় নিহত হন ওয়ায়েলের স্ত্রী আমনা (৪৪),ছেলে মাহমুদ(১৬),মেয়ে শাম (৭) ও অপ্রাপ্তবয়স্ক নাতি এডাম।পরিবারের আরো আটজন সদস্য এই হামলায় প্রাণ হারান। অথচ তিনি নিহতদের সমাহিত করার একদিন পরেই কাজে ফিরেছেন। এক ভিডিওতে ওয়ায়েল আদ- দাহদু জানান,তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য মারা গেলেও দ্রুত কাজে ফেরা তার "দায়িত্ব" ছিল। কতটুকু কর্তব্যনিষ্ঠ হলে এমন বেদনার মুহূর্তেও নিজের দায়িত্ব থেকে পিছপা হন না একজন ব্যক্তি!এই ঘটনা সাংবাদিকতা জগতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইসরাইল আইন করে আল জাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে নিজেদের ভূখণ্ডে। তাই বলে কি আল জাজিরা বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন থেকে নিভৃত হয়েছে?
তা কখনোই নয়।বরং তারা নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হতে এগিয়ে চলেছে।
লেখক: শিক্ষার্থী,জামিয়া দারুল মা'আরিফ আল ইসলামিয়া,চট্টগ্রাম।
© Deshchitro 2024