কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রাম এলাকার মানুষ। কখন যেন নিজের কষ্টে অর্জিত সম্পদ চুরি হয়ে যায় এমন আশঙ্কা করছেন তারা। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ১ মাসে ৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের জনৈক সোহেল মিয়ার ১৫০ সিসি একটি পালসার মোটর সাইকেল চুরি হয়। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা পাথরডুবি ইউনিয়নের পশ্চিম পাথরডুবী গ্রামের আব্দুল মজিদ এর বাড়ি থেকে লাল-খয়েরি রঙ্গের একটি গরু চুরি হয়।
তিলাই ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন রুমির বাড়ি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে সোলার প্যানেলের ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়।মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের মাওলানা পাড়ার আবু সালেহ এর বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি কালো রঙ্গের দামড়া গরু চুরি হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারিঝাড় গ্রামের আনন্দ মোড় টুকামারি এলাকার  জুলহাস মিয়ার পুত্র  জিয়াউর রহমান এর ঘরের মাটি খুড়ে (সিঁদ কেটে) ঘরে প্রবেশ করে ১টি মোবাইল ফোন, মোবাইল কোম্পানির কিছু সিম, একটি স্ক‍্যানার ও নগদ ৩২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। জিয়াউর বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিম বিক্রি ও এক্টিভ করার কাজ করতো।
গরুর মালিক আবু ছালেহ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৩টি গরু গোয়ালে বেঁধে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন ভোরে গোয়াল থেকে গরু বের করতে গিয়ে দেখি কালো রঙ্গের দামড়া গরুটি নাই। থানায় মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। গত তিন দিন থেকে সম্ভাব‍্য সকল জায়গাতে খুঁজেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত গরুটি পাইনি।
অপরদিকে জিয়াউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার মোবাইল ফোন, কিছু সিম ও স্ক‍্যানারটি টেবিলের উপরে রেখে এবং নগদ প্রায় ৩২ হাজার টাকা ড্রয়ারে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠে দেখি আমার ঘরের সিঁদ কেটে এসব জিনিস চুরি করে নিয়েগেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, গরু চুরি যাওয়ার একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। বাকি চুরির ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024