কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় নির্মাণাধীন একটি মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় মা ও তিন সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।


বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১টার দিকে এ দূর্ঘটনায় মারা যাওয়া মা-সন্তানরা হচ্ছে-উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মরিচ্যাঘোনা পানিরছড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া বেগম (১১)।


খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন মাটি চাপা পড়া ৪জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।


হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও রাত আটটার পর থেকে কয়েক দফা ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়।এতে হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মরিচ্যাঘোনার পানিরছড়া এলাকায় বসতঘরের মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারি এক পরিবারের ৪জনের মৃত্যু হয়।

সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফকির মোহাম্মদ নিজে বসতঘরটি মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন। নির্মাণাধীন বাড়ির দেয়াল গুলো তৈরী হলেও উপরে ছাউনী দেয়া হয়নি। এঅবস্থায় রাতে ত্রিপলের ছাউনী দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাড়ির ৫ সদস্য। রাত ১টার দিকে ভারী বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল ধ্বসে চাপা পড়ে মারা যায় ঘুমন্ত মা ও তিন সন্তান। এসময় বাড়ির কর্তা ফকির মোহাম্মদ বেঁচে যান।


১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির আহমদ বলেন, রাতে পরিবার সবাই খাওয়াধাওয়া করে ঘুমাতে যান। এরমধ্যে মধ্যরাতে বসতঘরের মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে এক পরিবারের চারজন মারা গেছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশ গুলো উদ্ধার করা হয়।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী জানান, আমরা খবর শুনে তাদের দাফন কাপনের জন্য প্রথমিক ভাবে আজকে নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছি। পরে আরো সহায়তা দেয়া হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024