◾ছিবগাতুল্লাহ আলিফ শাহ : পবিত্র দুই মসজিদের তও্ববধায়ক করে আল্লাহ পাক সৌদ পরিবারকে মহিমান্বিত করেছেন,কিন্তু তারা কি পারছে সে মহিমাকে ধরে রাখতে? এই প্রশ্নটি বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ধর্মপরায়ণ মুসলিমের মনে উঁকি দিচ্ছে।


মাস পেরিয়ে দ্বিতীয় মাসে গড়ালো এই অমানবিক হত্যাযজ্ঞ,কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অভিভাবক দাবিদার সৌদির পক্ষ থেকে কিছু মূল্যহীন হুমকি ব্যাতিত কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নি। এই কি একজন অভিভাবকের কর্তব্য?


তাঁরা চাইলে সকল আরব দেশকে সাথে নিয়ে তেল নিষেধাজ্ঞা দিতে পারতো।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রভাব খাটিয়ে যুদ্ধ বিরতির পরিবেশ তৈরি করতে পারতো।সাধ্যের মধ্যে থেকেও তারা কোন জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।আর কেনই বা নিবে! যদি ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তাহলে তো ইসরাইলী আপদ পরবর্তীতে সৌদির উপর এসে পড়বে।এই হলো তাদের ধারণা।ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুকে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডেই রেখে দিতে চায় তারা।রাসূল (সা) এর অমিয় এই বাণী হয়তো তারা ভুলে গিয়েছে;রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, "সব মুসলিম একটি দেহের মতো,যদি তার চোখ অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায় ;যদি তার মাথা অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়," (সহিঃ মুসলিম, হাদিস:৬৭৫৪)।

তাঁরা কিভাবে বুঝবে গাজাবাসীর দুর্দশা। তারা তো কখনো এমন পরিস্থিতির শিকার হয়নি।আল্লাহর দেয়া অফুরন্ত সম্পদ অকাতরে ভোগ করেই চলেছে।তারা মুখে নিন্দা করছে ঠিকই তবে তাদের মন অন্তঃসারশূন্য।আপামর জনগণ আশা করেছিল এই ক্রান্তিকালে হলেও তাদের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটবে।কিন্তু তারা মুসলিম বিশ্বকে হতাশ করেছে।

এখনো কি সময় আসেনি মজলুমের আর্তনাদ শুনার? এখনো কি সময় হয়নি একপেশে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার প্রয়াষ করার?


জাগো জাগো সৌদি জাগো 

তুমি জাগলে,জাগবে মুসলিম বিশ্ব।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024