সিরাজগঞ্জে এক শিশু ও দুই নারীকে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে মৃতুদন্ড প্রদান করেছে আদালত। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে অপর একটি আদালত।
মঙ্গলবার বেলা বারটার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত- ২ এর বিচারক আবুল বাশার মিয়া এই রায় দুটি প্রদান করেন।
মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালার আ: মুন্নাফের ছেলে আল আমিন ও জয়পুরহাটের পাচবিবি উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পুর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই গাজিপুরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা নাসরিন, তার ফুপু মেহেরুননেছা ও বোনের শিশুকন্যা জাইমা খাতুনকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পরকীয়া প্রেমিক আল আমিন ও তার সহকারী রবিউল ইসলাম। হত্যার পর লাশ তিনটি গুম করার জন্য সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাচিরের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যা কারিরা। পরের দিন বস্তাবন্দি লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করে এনায়েতপুর থানা পুলিশ। পরে স্বজনেরা লাশ সনাক্ত করে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্যপ্রমান শেষে আজ আদালত দুইজনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে, ২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ নিজ বাড়ি থেকে শহিদুল ইসলামকে হেরোইন সহ আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে সলঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শুনানি ও স্বাক্ষ্যপ্রমান শেষে আদালত আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।