জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দিন দিন আত্মহত্যাসহ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলেছে। চলতি বছরে ২’শ জনের অধিক নারী-পুরুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক।

বিভিন্ন তথ্যানুসারে জানা গেছে আক্কেলপুর উপজেলায় ২০২৩ সালে নারী ও পুরুষ মিলে প্রায় ২’শতাধিক ব্যক্তি আত্বহত্যার চেষ্টা করেছেন। এদের মধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পঞ্চাশের বেশি। মৃতদের তালিকার মধ্যে রযেছে সকল বয়সি নরনারী ও শিশু কিশোরী সহ বৃদ্ধরাও।

এসব আত্মহত্যার বিষয়ে জানা গেছে ,সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, প্রেম ঘটিত বিষয় ও ঋণ গ্রস্থ। আত্মহত্যার পদ্ধতি বিষয়ে জানা গেছে,ট্রেনে ঝাঁপ, গলায় ফাঁস এবং বিভিন্ন প্রকার কিটনাশক পান, অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ পান ও সড়ক দুর্ঘটনা ও অসাবধানতায় পানিতে ডুবে শিশুদের অস্বাভাবিক মুত্যু।চলতি বছরের এ পর্যন্ত আক্কেলপুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে ২৭টি,অবশিষ্টদের বিষয়ে মামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি বগুড়া ও জয়পুরহাট এবং সান্তাহার রেলওয়ে থানায় ।কারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিক চিকিৎসা সেবা না থাকায় বেশির ভাগ মুমূর্ষ্যদের বগুড়া ও জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়ে থাকে।ট্রেনে আত্বহত্যাকারীদের অস্বাভাবিক মামলা হয় সান্তাহার জি আর পি থানাতে। আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে যারা বেঁচে গেছেন তাদের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিকের উপরে।

উল্লেখ্য অনেক ক্ষেত্রে পানিতে ডুবে বা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতব্যক্তিদের বিষয়ে পরিবারের পক্ষথেকে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয় না। আবার অনেকক্ষেত্রে পুলিশ মৌখিকভাবে জানার পর অভিযোগ না পাওয়ায় তা লিপিবদ্ধ করেন না।

এ বিষয়ে বগুড়া ক্যান্টমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের মনোবিঞ্জান বিভাগের প্রভাষক আকতার ফিরোজ জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আত্মহত্যা অনেকটা মানষিক অস্থিরতা থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে দেশের প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার না থাকায় এ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মুল্যবোধ ও স্চ্ছোয় আত্মহত্যা করলে তাদের পরিবারের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এ সব বিষয়ে ব্যাপকভাবে সকলের মধ্যে প্রচার প্রচারণা করে বিষয়টি জানানো হলে যারা পথ বেছে নেয় তাদের মধ্যে অনেকে আত্মহত্যার প্রবনতা থেকে দুরে থাকতে পারে। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024