|
Date: 2023-11-29 08:36:23 |
যশোরের অভয়নগরে আব্দুল আজিজ মোড়ল হাটে বাজারে,রাস্তাঘাটে, গ্রামগঞ্জে যেখানেই যান, সঙ্গে তার একমাত্র চলার সঙ্গী বাইসাইকেল। ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ আজিজ মোড়লের বাইসাইকেল চালানোর দৃশ্য সকলেরই বৃষ্টি কাড়ে।
দেখলে মনে হয় বয়সের ভারে হাটতে পারছেননা, অথচ সাইকেল সঙ্গে নিয়েই তার পথ চলা। আজিজ মোড়ল উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের বুনো রামনগর গ্রামের বাসিন্দা।
বাইসাইকেলসহ নৌকায় চড়ে পার হয়ে যাচ্ছিলেন নাওপড়ার শহরে, কথা হয় তিনার সঙ্গে, তিনি বলেন, ১০ বছর বয়স থেকেই সাইকেল চালিয়ে আসছি, সাইকেল আমার নৃত্য সঙ্গী, সাইকেল ছাড়া আমি চলতে পারিনা,বৃদ্ধ বয়সে এক দেড় ঘন্টা পর্যন্ত সাইকেল চালাতে পারি, কোন এক সময় ভারত থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন এই সাইকেলপ্রেমী। জানা যায়, তিনার দুই ছেলে রয়েছে, এক ছেলে দুবাই থাকে, আর এক ছেলে ঢাকায় থাকে, অর্থের তার কোন অভাব নেই, তিনি কৃষি কাজ করতেন, মাঝেমধ্যে তাবলীগ জামাতে যান, সাইকেল খুবই প্রিয়।উল্লেখ্য যে, কম দূরত্বে চলাচল করতে একসময় একমাত্র অবলম্বন ছিল সাইকেল। ক্রমান্বয়ে সভ্যতার উন্নতিতে যন্ত্র যখন সহজলভ্য হলো সাইকেল তখন পরিণত হলো শরীরচর্চার, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বাহন হিসেবে।
স্বাস্থ্য এবং শারীরিক দক্ষতা বাড়াতে সাইকেল চালানো সবচেয়ে বড় উপকারী। সাইকেল চালনার সময় আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ মাংসপেশিগুলো বিভিন্ন মাত্রায় কাজে অংশগ্রহণ করে। ফলে, পেশির গঠন দৃঢ় হয়।
শহরের মধ্যে প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যেও তিনাকে বাইসাইকেল ঠেলে যেতে দেখা যায়, এবিষয়ে তিনি বলেন, সাইকেলে যেমন আমার চলার জন্য নিরাপদ বাহন, বৃদ্ধ বয়সে যখন মানুষ হাঁটাচলা করতে পারেনা লাঠির সাহায্যে ভর করে চলতে হয়, তেমনি বৃদ্ধ বয়সে ভর দিয়ে চলার জন্য লাঠির কাজ চলে সাইকেল ঠেলে। চলাচল করতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে যাতায়াত বাড়ায় বপশ টাকা পয়সা খরচ হয়। এই বাইসাইকেল থাকার কারণে তেমন কোন খরচ হয়, না তাছাড়া সাইকেল চালাতে পরিশ্রম হয়, এটা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকার বলে তিনি মনে করেন।
© Deshchitro 2024