◾ সুখবর ও ইতিবাচক ডেস্ক 


দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার মানুষের যাতায়াত আরও সহজ হবে। 


আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১টায় তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুরও উদ্বোধন করেন।


স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত এই মধুমতি সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা অবস্থিত। সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাইকার অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এই সেতুর ঠিকাদারি করছে। ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি ৬৯০ মিটার দীর্ঘ।


২৭ দশমিক ১০ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ও দুটি সার্ভিস লেন রয়েছে। রয়েছে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সংযুক্ত সড়ক। সেতুটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে সেতুটি।


প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্পেন। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) এ স্পেন তৈরি করা হয়েছে ভিয়েতনামে। ছয় লেনের এই সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। 


সওজ ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার, খুলনা-ঢাকার দূরত্ব ১২১ কিলোমিটার এবং নড়াইল-ঢাকার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার কমবে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024