|
Date: 2022-08-07 23:56:20 |
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান:
আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে মানুষই কেবল কথা বলতে পারে। মানুষ দুই বছর বয়স থেকে কথা বলতে পারলেও কীভাবে কোথায় কোন কথা বলতে হয়, তা শিখতে পুরো জীবন লাগে। তাই সবার অবস্থার চাহিদানুসারে কথা বলা উচিত। তবে কথা যা-ই বলি না কেন, তা সঠিক হওয়া এবং মিথ্যামিশ্রিত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহযাব: ৭০) তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা কথা পরিহার করো।’ (সুরা হজ: ৩০) সত্য কথা যদি নিজের বিপক্ষেও যায়, তবু তা বলতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ন্যায়ের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর জন্য সাক্ষীরূপে। যদিও তা তোমাদের নিজেদের কিংবা বাবা-মায়ের অথবা কাছের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হয়।’ (সুরা নিসা: ১৩৫)
এ ছাড়া কোনো কথা বোধগম্য করার জন্য তা পুনরায় বলার নির্দেশনা ইসলামে রয়েছে। যেমন আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) কোনো কথা বললে তা তিনি তিনবার বলতেন, যাতে করে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) শুধু তাই নয়, কথার কমবেশির কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক খারাপ হলেও মানুষ একে অপরকে অভিশাপ দেওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনি কাউকে গালিগালাজ করাও ইসলাম পরিপন্থী। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন কখনো অভিশাপ দিতে পারে না।’ (তিরমিজি) তিনি আরও বলেন, ‘মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তাকে হত্যা করা কুফরি।’ (বুখারি)
কারও সঙ্গে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে হলেও তা সুন্দরভাবে হওয়া আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সঙ্গে বিতর্ক করো।’ (সুরা আন-নাহল: ১২৫)
তাই মার্জিত ভাষায় কথা বলা একজন ইমানদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
• ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
© Deshchitro 2024