|
Date: 2023-12-14 06:38:18 |
নীলফামারীর ডোমার-চিলাহাটি রেলপথে লাইনের ৭২টি ফিসপ্লেট খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফিসপ্লেট খোলার আওয়াজে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় ট্রেন থামিয়ে দেয় উপস্থিত জনতা।
স্থানীয়রা জানান, নীলসাগর ট্রেন কোনোভাবে চলে যাওয়ার আধঘণ্টা পর খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে এসেছিল। ঘটনাস্থলের ৩/৪ শত লোক বিভিন্নভাবে সংকেত দিয়ে ট্রেনটি থামায়।
৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন জানান, আমি গিয়ে রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ফিসপ্লেট ক্লিপ খোলা অবস্থায় দেখতে পাই। এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, রেললাইনের একটি পর একটি করে মোট ৭২টি ফিসপ্লেট পিন খোলা হয়েছে। যার মাঝে একটি বস্তায় ৩০টির মতো লোহার ফিসপ্লেট পিন খুঁজে পাওয়া গেছে। রেল শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ফিসপ্লেটগুলো সংস্কার করে দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এলাকাবাসী টের না পেলে বড়সড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। এক্ষেত্রে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে হতাহতের সম্ভাবনা বেশি থাকতো।
এব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল আলম বিপিএএ জানান, আমি ঘটনাস্থলে দেখতে পাই রেললাইনের প্রায় ৭২টি ফিসপ্লেট খোলা হয়েছে। আমাদের ডোমারের ওপর দিয়ে রেললাইনের একটি বড় অংশ গেছে। আমরা সরকারকে অবহিত করবো, যাতে যে স্থান দিয়ে রেললাইন গেছে সে স্থানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এছাড়া আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি তারা আমাদের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবেন, আমরা তাদেরকে সে ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব।
এবিষয়ে নীলফামারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুর রহমান রতন বলেন, লাইন মেরামতের পর প্রায় দেড় ঘণ্টার পর ট্রেনটি সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অপরদিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিও দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে।
© Deshchitro 2024