বগুড়ার শেরপুরে নাবিল পরিবহনের ডাকাতি  সংঘটিত হয়েছে।  ডাকাত দল পালানোর সময়  কোচ ড্রাইভার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  মির্জা রুবেল ওরফে সুমন (৫০) নামের একজন ডাকাতকে  জাপটিয়ে ধরে।  অন্য বাস যাত্রীদের সহায়তাই এ সময় ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। সে  টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নামদার কুমিল্লী খান পাড়া গ্রামের মির্জা বিশুর ছেলে।  গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে।  কোচ ড্রাইভার  রফিকুল ইসলাম জানান,  বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে দিনাজপুর থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে নাবিল পরিবহরের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা-মেট্ট-ব-১২-২৮৬৬) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।  রাত একটার দিকে যাত্রী ভেসে পাঁচজন ডাকাত  বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় পৌঁছালে তারা কোচটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।  ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে ড্রাইভার এবং সুপারভাইজার কে জিম্মি করে রাখে  প্রত্যেক ডাকাতের কাছেই স্কুল ব্যাগ ছিল।  একজন ডাকাত গাড়িটি চালিয়ে ঢাকার দিকে যেতে থাকে।  অন্যান্য ডাকাতরা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয়। ডাকাতি শেষে কোচটি  শেরপুর উপজেলার ঘোগা বটতলা নামক স্থানে থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় ড্রাইভার রফিকুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাকাত মির্জা রুবেল ওরফে সুমনকে  পেছন দিক থেকে জাপটিয়ে ধরে  এবং ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে।  এ সময় যাত্রীরাও গাড়ি থেকে নেমে ওই ডাকাতকে ধরে ফেলে।  পরে পুলিশকে খবর দিলে ডাকাতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।  এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান,  কোচ ডাকাতির ঘটনায় শেরপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024