একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সপ্তাহখানেকের মধ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায়ে অব্যবহৃত রকেট লঞ্চার বিস্ফোরণে নিহত শহীদদের রক্তস্নাত সোনারায় শোকদিবস আজ।
১৯৭১ সালের ২৩শে ডিসেম্বর উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণের সময় ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড তৈরির জন্য পাশের পুকুরে পড়ে থাকা অব্যবহৃত রকেট লঞ্চারের স্টিল পাইপ নিয়ে আসে কয়েকজন ছাত্র। পাইপে বারি মারার সময় স্ক্রু খোলা মাত্র রকেট লঞ্চারটি বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলে ছাত্র ও যুবক সহ ৮ জন নিহত হন।
এছাড়া এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও সাতজন। আহতদের পার্শ্ববর্তী ভারতের শিলিগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করায় পরবর্তীতে তারা সুস্থ্য হয়ে উঠেন।
সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতরা হলেন—সোনারায় এলাকার ছাত্র সফিকুর রহমান (সফিকার), কলেজ ছাত্র ছানাউল আলম ছানু, খুরশিদ আনোয়ার দিলিপ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, স্কুলছাত্র মোস্তাহারুল ইসলাম মস্তু, চিকনমাটি এলাকার বজলার রহমান, হরিণচড়ার আব্দুল হামিদ ও নীলফামারীর বাবু।
এছাড়া গুরুতর আহতরা হলেন—ডোমার থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি গোলাম আরশাদ সোনারায়, সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার, সোনারায়ের আফিজ উদ্দিন সরকার, হাজী আব্দুল হক, শিক্ষক মাহমুদুল হক চৌধুরী, শিক্ষক ময়নুল ইসলাম, জামিরবাড়ী এলাকার দুইজন রাজমিস্ত্রী।
প্রতিবছরের ২৩শে ডিসেম্বর এলে সোনারায়ে প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলো শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমে এই শোকাবহ দিনটিকে স্মরণ করে থাকেন।