◾ আন্তর্জাতিক ডেস্ক 


অর্থপাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও তার ছেলে হামজা শাহবাজ। বুধবার (১২ অক্টোবর) লাহোরের একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন।


ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান এর একদিন আগে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেন।


পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ ১৬ বিলিয়ন রুপি পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালে শাহবাজ, তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।


এর মধ্যে বিচারের কার্যক্রমে নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে সুলেমানকে আদালত দোষী ঘোষণা করেছিলেন।


তবে বুধবার শুনানিতে এফআইএ আদালতকে জানিয়েছে, বেনামি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও তার ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি।


এ মামলার পর প্রধানমন্ত্রী একে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আসছেন। গতকাল রায় ঘোষণার পর এক টুইটবার্তায় শাহবাজ বলেন, ‘আমি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক অর্থ পাচারের মামলায় বিজয়ের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’


শাহবাজ বলেন, আজ আমরা আদালত, আইন ও জাতির সামনে নিরাপারধ প্রমাণিত হয়েছি। 


পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র হামজা টুইটে বলেন, সত্যের বিজয় হয়েছে।


পিএমএল-এন নেতা তালাল চৌধুরী একটি সাক্ষাতকারে এই রায়কে বিজয় অভিহিত করে বলেছেন, এই ধরনের মিথ্যা মামলা একদিন উন্মোচিত হতে বাধ্য। আজকেই সেই বিজয়ের দিন।


তবে বিরোধী দল পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, এ রায় জাতির মুখে চটেপাঘাত।


সাবেক আরেক মন্ত্রী শিরিন মাজারী বলেন, আদালতের এ সিদ্ধান্ত লজ্জাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসার ছয় মাসের মধ্যে অপরাধীরা হোয়াইটওয়াশ (অপরাধমুক্ত) হয়েছেন। 


এর আগে ১১ এপ্রিল আস্থা ভোটে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। 


শাহবাজ পাকিস্তানের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও দেশটির ঘরোয়া রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ। তিন দফায় ১২ বছর ধরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এই শাহবাজ। প্রদেশটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রীও তিনি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024