◾ নিউজ ডেস্ক


নেপালের হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদিত প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘানশেয়াম ভান্ডারির মতবিনিময় শেষে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর নেপালে বেড়াতে যান। নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিকপণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।


নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উভয় দেশের বাণিজ্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের কম হলেও এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪৮ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’


নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘানশেয়াম ভান্ডারি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নেপাল সফর করেন। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। মোংলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক হবে। পদ্মা সেতুর সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।’


বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।’


উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়। চলতি অক্টোবর মাস থেকে লোডশেডিং পুরোপুরি কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা হয়নি বরং বেড়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরম, সেই সঙ্গে লোডশেডিং দুই মিলিয়ে রাজধানীবাসীর এখন নাকাল অবস্থা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পরিস্থিতিও নাজুক। এমন সময় নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হলো।  

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024