আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন বিরোধী লিফলেট ও নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নাশকতার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী সহ ৮ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানার পুলিশ। ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চলমান নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলীর নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ করছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিএনপি নেতাকর্মীদের একত্রিত করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে অনেকে পালিয়ে গেলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী সহ ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এব্যাপারে শেরপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. খোরশেদ আলম পিপিএম বলেন, তারা নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করছিল ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাথে সাথে পুলিশ অভিযান চালায়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় আট নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয় সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই রাস্তায় আমাদের নেতা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী সহ আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করছে। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্টের মামলা দায়ের করা হয়েছে

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024